কোরীয় উপদ্বীপে এবার যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া
কোরীয় উপদ্বীপে এবার জেট বিমান ও বোমারু বিমান উড়িয়ে মহড়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। গত বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর এই মহড়া অনুষ্ঠিত হলো। সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই খবর জানিয়েছে।
চারটি এফ-৩৫বি স্টিলথ ফাইটার জেট ও দুটি বি-১বি বোমারু বিমান এই যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির বিরুদ্ধে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই যৌথ মহড়া দুটি দেশের নিয়মিত কাজের অংশ। গত ৩১ আগস্টেও এ রকম যৌথ বিমান মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়ে আসছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। পৃথিবী থেকে দৃশ্যত বিচ্ছিন্ন দেশটি প্রতিবেশী দেশ জাপানের ওপর দিয়ে দুটি ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষা চালিয়েছে। এ ছাড়া সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক বোমারও পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি।
এই ঘটনায় জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিক্কি হ্যালি বলেছেন, ‘লাগামহীন আচরণ’ অব্যাহত রাখলে ধ্বংস হয়ে যাবে উত্তর কোরিয়া। স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টেলিভিশন সিএনএনের ‘স্টেট অব দি ইউনিয়ন’ নামে একটি টক শোতে হ্যালি এ মন্তব্য করেন।
নিক্কি হ্যালি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের উচিত যেকোনো ধরনের হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করা। আমরা নিরাপত্তা পরিষদে সম্ভাব্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছি। এখনো বহু সামরিক বিকল্প আমাদের হাতে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচআর ম্যাকমাস্টার বলেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উনকে পরমাণু কর্মসূচি ছেড়ে দিতে হবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র ও নাগরিকদের ওপর বারবার পরমাণু অস্ত্রের হামলার হুমকি দেওয়া একটি শাসকগোষ্ঠীকে বরদাশত করবেন না।
ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ায় সামরিক হামলা শুরু করবেন কি না জানতে চাইলে ম্যাকমাস্টার বলেন, ‘এ ব্যাপারে তিনি (ট্রাম্প) খুবই স্বচ্ছ যে, সব বিকল্পই মাথায় আছে।’