রুয়ান্ডা ও বসনিয়ার মতো গণহত্যা চলছে মিয়ানমারে
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি বলেছেন, ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডা ও ১৯৯৫ সালে বসনিয়ায় যে গণহত্যা হয়েছে, তার সঙ্গে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনের খুবই মিল রয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে বুহারি এই মন্তব্য করেন।
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৩০টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনাচৌকিতে একযোগে হামলা হয়। রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ বা আরসা) এই হামলার দায় স্বীকার করে। এর পর থেকে রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হিসাবে ৪০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
এই সহিংসতার মধ্যে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে চার লাখ ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। এ ছাড়া পালিয়ে আসার সময় নাফ নদে ডুবে মারা গেছে শতাধিক রোহিঙ্গা।
জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে বুহারি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ বিষয়ে (মিয়ানমারে গণহত্যা) নীরব থাকতে পারে না এবং তাদের অবশ্যই জাতিগত পরিচয় ও ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে বর্বরোচিতভাবে জনমানবশূন্য করে ফেলার ফলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের ঘটনার নিন্দা জানাতে হবে।’
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘চলমান জাতিগত নির্মূলকরণ বন্ধের আদেশ বা বন্ধ করতে এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজেদের বাড়িতে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নিতে জাতিসংঘের মহাসচিব মিয়ানমার সরকারকে যে আহ্বান জানিয়েছেন, তার সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত।’