সিউলে বিশ্বশান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বিশ্বশান্তি সম্মেলন শেষ হয়েছে। গত রোববার থেকে বুধবার পর্যন্ত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্বের প্রায় ১৪১টি দেশের এক হাজারের বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।
তৃতীয়বারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত এ বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজন করে হেভেনলি কালচার, ওয়ার্ল্ড পিস, রেস্টোরেশন অব লাইট (এইচডব্লিউপিএল)। সহ-আয়োজনে ছিল ইন্টারন্যাশনাল ওমেনস পিস গ্রুপ (আইডব্লিউপিজি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
সম্মেলনে তিউনিশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুনসেফ মারজুকি, ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো জোসিপোভিক, বেলারুশের সাবেক প্রেসিডেন্ট স্ট্যানিসল শুখেভিক, বেনিন জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট অ্যাডেরিন হাংবেধজি, কসোভোর সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যাটিফিতে জাহজাগা, জাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী গিভেন লুবিন্ধা, ভারতের স্বর্ণমন্দিরের প্রধান সিং সাহিব গিয়ানি গুরুবচন সিং জিসহ বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, আইন, ধর্মীয়, মহিলা, যুব এবং গণমাধ্যমে কর্মরত ব্যক্তিত্বরা। বাংলাদেশ থেকে সম্মেলনে অংশ নেন মিডিয়া বিশেষজ্ঞ খ ম হারুন।
সম্মেলনের প্রথমদিনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে এইচডব্লিউপিএলের চেয়ারম্যান ম্যান হি লি এবং আইডব্লিউপিজি চেয়ারপারসন নাম হি কিম মতবিনিময় করেন। সেখানে বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা তাঁদের দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরেন। অন্যদিকে বিশ্বশান্তি প্রচেষ্টায় নিজেদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন সংগঠন দুটির নেতারা।
এবারের আয়োজনের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৮ সেপ্টেম্বর সিউলের পিস ভিক্টোরি স্টেডিয়ামে। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের শান্তির প্যারেডের পাশাপাশি ছিল বর্ণময় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এই আয়োজনে বিভিন্ন দেশের নেতারা বর্তমান বিশ্ববাস্তবতায় শান্তি সম্মেলনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অন্যদিকে সিউল টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে খ ম হারুন মিয়ানমারে রোহিঙ্গা হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। বিশ্ব সম্মেলনের নেতৃবৃন্দসহ উপস্থিত বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা রোহিঙ্গা প্রসঙ্গকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখার সুপারিশ করেন।