দুধ চা পান করবেন যেভাবে
এমন কোনো পরিবার নেই, যেখানে একজন হলেও দুধ চা পছন্দ করেন না। বেশির ভাগ পরিবারের কেউ না কেউ দিনে এক কাপ হলেও দুধ চা পান করেন। দুধ চায়ে দুধের প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম ছাড়াও ক্যালরি পাওয়া যায়। এসিডিটি, পেট কামড়ানো, পায়খানা নরম বা কঠিন হওয়া, ত্বকের ক্ষতি হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত গরম দুধ চা দীর্ঘদিন খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
দুধের কেজিন (casien)-এর সঙ্গে চায়ের Catechin (ক্যাটেচিন)-এর বিক্রিয়ার কারণে চা তার নিজের গুণ হারায়। তা ছাড়া চায়ের দুধ থেকে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। তাই অনেক প্রিয় এই দুধ চা পুষ্টিবিদরা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তাই বলে দুধ চা একেবারেই খাবেন না? চলুন, জেনে নিই কীভাবে এই দুধ চা খেলে ক্ষতি কিছুটা কমানো যাবে।
১. খালি পেটে দুধ চা পান না করে, সকালে নাশতার পর বা বিকেলে কিছু খেয়ে দুধ চা পান করুন। এতে ক্ষতি কিছুটা কম হতে পারে।
২. খুব গরম দুধ চা না পান করে হালকা গরম দুধ চা পান করুন।
৩. দুধ চা বড় মগ বা কাপে না পান করে ছোট কাপে পান করুন।
৪. খালি চা না পান করে তার সঙ্গে মেরি বিস্কুট বা মুড়ি বা খই দিয়ে খান। এতে এসিডিটি কম হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৫. চা বানানোর সময় পাতলা দুধ পরিমাণে একটু বেশি দিন।
৬. দুধ চা বেশি জ্বাল না দেওয়াই ভালো।
৭. পুরো এক কাপ চা পান না করে আধা কাপ চা পান করুন।
৮. আস্তে আস্তে চা পান করুন, দ্রুত গরম চা পান খুব ক্ষতিকর।
৯. দুধ চা পান করার আগে স্বাভাবিক তাপমাত্রার এক কাপ পানি পান করুন।
১০. এক কামড় বিস্কুটের সঙ্গে এক কাপ চা, এভাবে পান করতে পারলে ভালো।
১১. খুব বেশি স্বাদ না হলেও লো ফ্যাট দুধ দিয়ে চা তৈরি করুন।
ওপরের পরামর্শগুলো মেনে দুধ চা খেলে তাতে ক্ষতি হয়তো কিছুটা কমাবে। তবে মনে রাখবেন, এই পরামর্শ প্রতিদিনের জন্য নয়। মাসে দুই বা তিনবার এমন করে দুধ চা পান করা যেতে পারে। দুধ চায়ের নেশা পেলে দাঁত মেজে ফেলুন। চায়ের নেশা কমে যাবে।
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।