গ্রিন টি স্বাস্থ্যকর, তবুও...
আমরা শরীরের ভালোর জন্য অনেক খাবার খাই। সেই স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে একটি অন্যতম পানীয় হলো গ্রিন টি। এটি শরীরের জন্য খুব ভালো। এ ছাড়া গ্রিন টি ওজন কমাতে, রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে অনেক উপকারী একটি পানীয়। গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। তবে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য সারা দিন পানির মতো গ্রিন টি পান করেন।
আসলে অনেক গুণের এই পানীয় তখনই স্বাস্থ্যকর, যখন কেউ পরিমিত পরিমাণে পান করবে। স্বাস্থ্যকর হলেও অতিরিক্ত কোনো কিছুই কখনো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
- যাঁদের পেটে সমস্যা রয়েছে, তাঁরা অতিরিক্ত গ্রিন টি খেলে সমস্যা বাড়তে পারে।
- অতিরিক্ত গ্রিন টি গ্রহণ কিডনির জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়।
- ঘুমের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত গ্রিন টি পান সমস্যাকে আরো বাড়তে পারে।
- কোনো কোনো ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থায় গ্রিন টি মায়ের জন্য ক্ষতিকর হয়। গর্ভাস্থায় ও স্তন্যদানকালীন গ্রিন টি পান করলে অনেক সময় লিভারের সমস্যা হয়। কারো কারো ঘুমের সমস্যা হয়, পাকস্থলীতে অসুবিধা দেখা যেতে পারে।
- যাঁরা রক্ত তরলীকরণের ওষুধ খান, তাঁরা গ্রিন টি পান করলে ওধুষের কাজ কমে যায় বা বাধা পায়। আবার অ্যাসপিরিন খেলেও গ্রিন টি পান করা ঠিক নয়।
- অনেকের গ্রিন টিতে অ্যালার্জি থাকতে পারে। যদি থাকে তবে তাদের গ্রিন টি এড়িয়ে চলতে হবে। অনেকের অনেক অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকের গ্রিন টি পান করার পর অনেক মাথা ঘোরে। এটাও এক রকম অ্যালার্জি।
- অনেকে হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখতে বা ওজন কমাতে প্রচুর গ্রিন টি পান করেন। তবে যেকোনো হারবাল বা আয়ুর্বেদ জাতীয় খাবার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাও হতে পারে।
তাই অতিরিক্ত গ্রিন টি পান না করাই ভালো। দিনে সাধারণত দুই কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন অথবা ডাক্তার বা ডায়টিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে পান করুন।
লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ, অ্যাপোলো হাসপাতাল।