প্রধান শিক্ষককে যুবলীগ নেতার মারধর, বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন
বরগুনার আমতলী উপজেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উপজেলা যুবলীগ নেতা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার সকালে উপজেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চলমান বার্ষিক পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষকরা।
সকাল ১০টার দিকে শিক্ষকরা আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে যুবলীগ নেতার শাস্তি দাবি করেন। এতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার সহস্রাধিক শিক্ষক অংশ নেন। সমাবেশ শেষে ইউএনও মো. সরোয়ার হোসেনের কাছে বরগুনা জেলা প্রশাসক ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন আন্দোলনরত শিক্ষককরা।
এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সোবহান লিটন তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে না পেরে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মহিউদ্দীন স্বপনকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই আবদুস সোবহান লিটনসহ পাঁচজনকে আসামি করে আমতলী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন প্রধান শিক্ষক এস এম মহিউদ্দীন স্বপন। অভিযোগ পেয়ে আজ সকালে সোহরাব হোসেন নামের এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আবদুস সোবহান লিটনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, এরই মধ্যেই আবদুস সোবহান লিটনকে যুবলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে যথাযথ তদন্তের পর তাঁর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে বরগুনার জেলা প্রশাসক মো. মোখলেছুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রকৃত ঘটনা জেনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। তা ছাড়া এ ঘটনায় আমতলী থানায় দায়ের করা মামলা ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।