শেষ মুহূর্তের কথোপকথন ফাঁস, তদন্ত করবে নেপাল
ব্ল্যাকবক্সের ফাঁস হওয়া কথোপকথন নিয়ে যৌথভাবে তদন্ত করবে নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের তদন্ত সংস্থা (সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো-সিআইবি)। দেশটির বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী ব্ল্যাকবক্সের তথ্য ও কথোপকথন প্রকাশ করা নিষিদ্ধ।
এদিকে, আজ মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের ছয় কর্মকর্তাকে ‘অব্যাহতি’ দিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
নেপালের গণমাধ্যম মাই রিপাবলিকায় এসব তথ্য দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলার একটি বিমান। ঢাকা থেকে দুপুরে রওনা দেয় বিমানটি। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটার দিকে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনা পরবর্তী বিষয় নিয়ে কথা বলেন নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক (ডিজি) সঞ্জিব গৌতম।
সঞ্জিব গৌতম জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার আইন অনুযায়ী ব্ল্যাকবক্সের রেকর্ড অর্থাৎ পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কথোপকথন এবং ফ্লাইটের তথ্য প্রকাশ করা নিষেধ। তিনি বলেন, ‘ওই কথোপকথন নিয়ে আমরা তদন্ত করব।’
সঞ্জিব গৌতম জানান, ঘটনার সময় নিয়ন্ত্রণকক্ষে থাকা ছয় কর্মকর্তাকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার দুই মিনিটের মধ্যে তাঁরা ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন।
সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে ইউএস বাংলার ড্যাশ এইট কিউ ফোর হানড্রেড মডেলের এই বিমানটি। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রানওয়ে থেকে ছিটকে বিমানটি পাশের খালি মাঠে গিয়ে পড়ে। দুই ইঞ্জিনের বিমানটি ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে পড়ে। বিক্ষিপ্ত অংশগুলোতে লাগা আগুনের কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা বিমানবন্দর।