জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন আগামীকাল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তন হতে যাচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। দীর্ঘ চার বছর পর আবারও বিশ্ববিদ্যালয়টি মুখর হয়ে উঠেছে সমাবর্তনের আনন্দে। যদিও দেশব্যাপী চলমান অবরোধ আর হরতালের কর্মসূচি সমাবর্তনের আনন্দকে কিছুটা ম্লান করছে।
সমাবর্তনের জন্য মঞ্চ তৈরি ও ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি নিরাপত্তার দিকে এবার বিশেষ নজরদারি রাখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
পঞ্চম সমাবর্তন সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ দায়িত্বে থাকা সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এদিকে, কোনোরকম আলাপ-আলোচনা ছাড়াই সমাবর্তন অনুষ্ঠান পালনের সিদ্ধান্ত এবং সমাবর্তনে কোনোরকম কর্তৃত্ব না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা এরই মধ্যে সমাবর্তন বর্জন করার কথা জানিয়েছেন।
তবে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম সমাবর্তন অনুষ্ঠান সফল করতে বেশ আশাবাদী। সবার সহযোগিতায় সমাবর্তন অনুষ্ঠান সফল হবে বলে আশা করছেন তিনি। আর সব ধরনের রাজনৈতিক মতভেদ বাইরে রেখে শিক্ষকদের সমাবর্তনে যোগ দিতে অনুরোধ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হেলিকপ্টারযোগে সাভার ক্যান্টনমেন্ট আসবেন। সেখান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
সমাবর্তনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে সর্বোচ্চ নম্বরধারী ১৮ শিক্ষার্থীকে ২৩টি স্বর্ণপদক তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি।
স্নাতকোত্তর ক্যাটাগরিতে ড. সুরত আলী খান পদক পাঁচজন, শরফুদ্দীন পদক চারজন, স্নাতক সম্মান ক্যাটাগরিতে আসাদুল কবির পদক ছয়জন এবং মোফাসসিল উদ্দিন আহমেদ স্বর্ণপদক পাচ্ছেন আরো তিনজন । এর মধ্যে পাঁচ শিক্ষার্থী দুটি করে স্বর্ণপদক পাবেন।
এ ছাড়া ২০০৯, ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় আরো চার শিক্ষার্থী শরফুদ্দীন স্বর্ণপদক পাচ্ছেন। শুধু দর্শন বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে সর্বোচ্চ ফলধারী তিন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। একই সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্তদের এক বছর আর্থিক বৃত্তি দেওয়া হবে।