যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সিরিয়ায় হামলা শুরু
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ঘাঁটিতে সেনা হামলার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে মিত্র দেশ যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স।
আজ শনিবার বিবিসি জানিয়েছে, রাসায়নিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এরই মধ্যে সিরিয়ায় হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো।
জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে এই হামলা চালানো হচ্ছে।’
সংবাদ মাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক এবং পশ্চিমাঞ্চলের শহর হমা ও হোমসে হামলা চালানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে সিরিয়ার দুমা এলাকায় রাসায়নিক হামলার পর পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তখন থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকার সবসময়ই দুমায় রাসায়নিক হামলার কথা অস্বীকার করে আসছে। তবে সিরিয়ার মিত্র রাশিয়া এ হামলার বিরোধিতা করে আসছে।
ট্রাম্প বলেন, সিরিয়া যতক্ষণ পর্যন্ত এই অবৈধ রাসায়নিক হামলা বন্ধ না করবে, আমরা তাদের ওপর হামলা চালাতে প্রস্তুত আছি।
এ হামলায় যুক্তরাজ্যের সম্পৃক্ততার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেছেন, ‘হামলা চালানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।’ তবে তিনি ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য এই হামলা চালানো হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন।
বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র চারটি টর্নেডো জেট বিমান দিয়ে হোমস শহরের কাছে একটি সেনা ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এই ঘাঁটিতে রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
সিরিয়ায় হামলায় অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোঁ। এর আগে তিনি জানিয়েছেন, সিরিয়ার সরকার দুমায় রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে, তার কাছে এটার প্রমাণ আছে।