এ সময়ে প্রবীণদের রোগবালাই, কী করবেন
শীতের শেষে আসছে বসন্ত। আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায় এবং ধুলোবালি বেড়ে যায়। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবীণদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ জানান, এ সময় প্রবীণসহ সব বয়সের মানুষই শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ব্রংকাইটিস, অ্যাজমা, সাধারণ সর্দিকাশি, সাইনোসাইটিস, ভাইরাসজনিত কারণে এলার্জি এ সব সমস্যা হতে পারে।
এ সময় বিভিন্ন রোগের জীবাণু বাতাসের মাধ্যমে বেশি ছড়ায়। ফলে টাইফয়েড, পেরা-টাইফয়েড, জণ্ডিস ইত্যাদি অসুখ বেশি হয়।
এ ছাড়া কিছুটা গরম পড়ার কারণে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হয়। রাস্তাঘাটে বিভিন্ন শরবত খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া, আমাশয় এসব রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ঘাম হওয়ার কারণে এ সময়টায় চর্মরোগের আশঙ্কা বাড়ে। ছত্রাকের কারণে সংক্রমণ হতে পারে। ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যায় এবং চুলকানি হয়ে থাকে।
প্রতিরোধ
চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ জানান, এ ঋতুতে রোগ প্রতিরোধে বাইরের খোলা খাবার খাওয়া যাবে না। ঘরের খাবার অনেক্ষণ বাইরে রাখার ফলে গরমে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো।
এ বিষয়ে হলিফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার ডাক্তার শ আ মোনেম জানান, এ আবহাওয়ায় উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গোসল করলে ভালো হয়। খাওয়ার সময়ও উষ্ণ গরম পানি ব্যবহার করুন। এই সময় কখনো গরম বা কখনো শীতশীত ভাব থাকে। আবহাওয়া গরম হলে পাতলা পোশাক পরুন। আর ঠাণ্ডা থাকলে কিছুটা ভারী পোশাক পরুন। ভোর বেলা ঘরের বাহিরে বের হলে মাথায় টুপি ব্যবহার করা ভালো।
এ রোগের প্রতিকারে তিনি জানান, সর্দিকাশির সমস্যা হলে এন্টি এলার্জিক ওষুধ খেতে হবে। উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গরগরা করতে হবে। তবে সমস্যা বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।