বেবী নাজনীনকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে : পুলিশ
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সমানে থেকে আটক কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনকে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ তাঁকে আটক করে।
এ ব্যাপারে গুলশান থানায় যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘না, তাঁকে (বেবী নাজনীন) আটক করা হয়নি। তাঁকে গাড়িতে করে বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। থানাতেও নেওয়া হয়নি।’
এদিকে আটকের পর থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বেবী নাজনীনের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে ফোন করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তাঁর পরিবারের একজন সদস্য (যিনি অন্য বাসায় থাকেন) নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমিও শুনেছি তাঁকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি। বাসার ফোনও কেউ রিসিভ করছে না।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খালেদা জিয়ার জন্য খাবার নিয়ে গিয়েছিলেন বেবী নাজনীন। প্রথমে তাঁকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদস্যরা বাধা দেন। পরে কয়েকজন নারী পুলিশ সদস্য তাঁকে টেনে নিয়ে গাড়িতে তোলেন। গাড়িটি গুলশান থানার দিকে যায়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বেবী নাজনীন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের জন্য নিজের হাতে স্যুপ রান্না করে এনেছিলেন। পুলিশের কাছে আধা ঘণ্টা কাকুতি-মিনতি করেছেন, কিন্তু পুলিশ তাঁকে কার্যালয়ে ঢুকতে তো দেয়নি, উল্টো তাঁকে আটক করে নিয়ে গেছে।’
শায়রুল কবীর বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের কাছে বেবী নাজনীন বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে এখানে আসিনি। উনি (খালেদা জিয়া) আমার মা। আমি বিদেশে ছিলাম, তাই তাঁর সাথে দেখা হয়নি। তাঁর ছেলে মারা গেছে, তারপরও দেখা হয়নি। আমাকে একটু অনুমতি দেন, এক ঝলক তাঁকে দেখে আসব। তাঁর জন্য একটু স্যুপ রান্না করে এনেছি, তা তাঁকে দেব।’
‘কিন্তু পুলিশ তাঁকে বলে, এখানে অ্যাম্বাসেডর (রাষ্ট্রদূত) ছাড়া কারো প্রবেশের অনুমতি নেই। তখন বেবী বলেন, আমিও তো অ্যাম্বাসেডর, বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করি। আপনারাই আমাকে সেই সম্মানের জায়গা দিয়েছেন। তবু পুলিশ তাঁকে ঢুকতে দেয়নি।’যোগ করেন শায়রুল কবীর খান।
বেবী নাজনীন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) সাথে যুক্ত।