মুনের চিঠির দ্রুত জবাবের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার
চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে যৌথ উদ্যোগ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের চিঠির জবাব দিতে যাচ্ছে সরকার। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। খুব বিস্তারিত জবাব যাবে। খুব দ্রুতই যাবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উনারা বলেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকেও চিঠি তাঁরা লিখেছেন।’ মহাসচিব সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চিঠিতে অনেক বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব চলমান সহিংসতা বন্ধে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, পরবর্তী নির্বাচনে আগে যাতে সহিংসতা না হয়, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘের মহাসচিব কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘তারা কীভাবে নির্দেশনা দেবে? সাধারণত যেকোনো বিষয়ে জাতিসংঘ অনুরোধ জানায়।’
জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে তারানকোকে জাতিসংঘের মহাসচিব দায়িত্ব দিয়েছেন যে, বাংলাদেশের যদি কোনো সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে তিনি তাঁকে উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলবেন বা তাঁকে অ্যাসাইন করেছেন – এ কথাটি তিনি বলেছেন। এবং চিঠিতে তিনি এও বলেছেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জাতিসংঘ সহযোগিতা করে যাবে।’
সরকার আন্তর্জাতিক মহলের চাপে আছে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘একদমই না। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নতুন যে রাষ্ট্রদূতরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁরা এমন কিছু বলেননি, যাকে চাপ হিসেবে মনে করা যায়।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘ভয়ংকর সহিংসতার চিত্র তাঁদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা আশা করি এবং বিশ্বাস করি, তাঁরা উপলবব্ধি করতে পেরেছেন যে আমরা আসলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। কোনো রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে নয়।’
সংলাপ প্রঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা কোনো খুনির সঙ্গে সংলাপ করতে চাই না। আমরা সন্ত্রাস নির্মূল করতে চাই।’ তিনি জানান, প্রতিটি ঘটনাপ্রবাহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করা হচ্ছে, যেন কেউ তাদের ভুল তথ্য দিয়ে প্রভাবিত করতে না পারে।