বঙ্গোপসাগরে চার জেলের লাশ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৫৬
বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন স্থান থেকে চার জেলের গলিত লাশ উদ্ধার করে সুন্দরবনের মান্দারচর এলাকায় দাফন করেছেন জেলেরা। মৃতদেহগুলো গত ২১ জুলাই রাতে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়া ট্রলারের নিখোঁজ জেলেদের বলে জানিয়েছে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি। ট্রলার ডুবির ঘটনায় বরগুনা জেলার ছয়টি ট্রলারের ৫৬ জন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
উদ্ধারকারী দলের সদস্য মো. হারুন বলেন, গত ২১ জুলাই শনিবার বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবে তাঁর ভাই মো. বাবুল নিখোঁজ হন। পরে সাগর শান্ত হলে গত বৃহস্পতিবার বরগুনা জেলার ট্রলার মালিক সমিতির উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের সঙ্গে তাঁর ভাইকে খুঁজতে উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে সাগরে যান তিনি। এরপর বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন এলাকায় তিনদিন ধরে নিখোঁজ জেলেদের খুঁজতে থাকেন তাঁরা। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে গতকাল শনিবার সকালে সুন্দরবনের মান্দারচর এলাকায় কোস্টগার্ডের একটি ভ্রাম্যমাণ দলের সঙ্গে দেখা হয় উদ্ধারকারী জেলেদের। কোস্টগার্ডের কাছে তথ্য পেয়ে মান্দারচর এলাকার আশপাশ থেকে নাম পরিচয়হীন চার জেলের গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেন তাঁরা।
নাম পরিচয়হীন গলিত মৃতদেহগুলো উপকূলে আনার মতো অবস্থায় না থাকায়, অনন্যোপায় হয়ে মান্দারচরে জানাজা শেষে মৃতদেহগুলো দাফন করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলার ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, এ খবর পেয়ে নিখোঁজ জেলেদের স্বজনরা বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির পাথরঘাটার কার্যালয়ের ভিড় জমাচ্ছেন। নিখোঁজ জেলেদের স্বজনদের আহাজারিতে এরই মধ্যেই বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। তিনি আরো জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় বরগুনা জেলার ছয়টি ট্রলারের এখনো ৫৬ জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাব ৬-এর অধিনায়ক হাসান ইমন আল রাজীব বলেন, ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে সুন্দরবনের অবস্থানরত র্যাব সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল তিনি নিজেও এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেবেন বলে জানান।