নারী ইউপি সদস্যকে পেটালেন পুরুষ সদস্য
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত ওয়ার্ডের এক সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেছেন ইউপির পুরুষ সদস্য।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারের বিশেষ বরাদ্দের চাল আত্মসাতের ঘটনার জের ধরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত নারী ইউপি সদস্য সাফিয়া খাতুনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাফিয়া খাতুন জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারের বিশেষ বরাদ্দ থেকে মক্রমপুর ইউপির জন্য চার টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই চাল বিতরণ না করায় ইউপি সদস্যরা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন। গত রোববার কয়েকজন ইউপি সদস্য বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়ে আসেন।
গতকাল সন্ধ্যার দিকে, শহরের চৌধুরী বাজারে সাফিয়া খাতুনসহ মক্রমপুর ইউপির আটজন সদস্য একত্রিত হয়ে এ ব্যাপারে পরামর্শ সভায় বসেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মহিবুর রহমান, আজমান মিয়া, মতি মিয়া, আরাফাত আলী, খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, শেখ মুমিন মিয়া ও মুমিন চান।
এ সময় হিয়ালা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য মহিবুর রহমানের সঙ্গে চাল বিতরণ নিয়ে সাফিয়া খাতুনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মহিবুর রহমান সাফিয়ার চুল ধরে টানাহেচড়া ও বেধড়ক মারধর করেন। এ সময় অন্য ইউপি সদস্যরা সাফিয়া খাতুনকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে গেলে সাফিয়া খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘চাল আত্মসাতের ব্যাপারে কথা বলায় মেম্বার মহিবুর রহমান আমার ওপর হামলা চালায়। আমি হামলাকারী মহিবুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আজমান মিয়া জানান, চাল আত্মসাতের ঘটনা নিয়েই ইউপি সদস্য মহিবুর রহমান মহিলা মেম্বারকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে বানিয়াচংয়ের ইউএনও মামুন খন্দকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মহিলা মেম্বারকে আহত করার বিষয়টি একজন মেম্বার আমাকে ফোনে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মহিবুর রহমান দাবি করেন, কথা কাটাকাটির সময় সাফিয়া তেড়ে এলে তিনি হাত দিয়ে বাধা দেন। এ সময় সাফিয়া মাটিতে পড়ে যান। পরে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মুমিন চান, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মতি মিয়া ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আজমান মিয়াসহ অন্যান্য মেম্বাররা তাঁকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।