প্রতিদিন প্রেমের প্রস্তাব আসে, কিন্তু...
‘কথা হবে তো?’ নাটকটি থেকে ভালো সাড়া পাওয়ার পর মনোজ কুমার ভিন্ন রকম একটা চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। সেই অপেক্ষা শেষ হয়েছে এবার ঈদে। রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘বিয়ের দাওয়াত রইলো’ টেলিফিল্মে তাঁর অভিনয় নতুন করে নজর কেড়েছে। টেলিফিল্মটি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন মনোজ কুমার। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নাইস নূর।
এনটিভি অনলাইন : ‘বিয়ের দাওয়াত রইলো’ টেলিফিল্মটি থেকে তো ভালো সাড়া পাচ্ছেন। টেলিফিল্মটিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
মনোজ কুমার : তিন দিন টানা শুটিং করেছি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুরো টিমের সঙ্গে খুব ভালো জার্নি ছিল আমার। এই জার্নিটা থেকেই অনেক কিছু শিখেছি। মনেই হয়নি অভিনয় করছি। সবার সঙ্গে সুন্দর সময় কেটেছে। চরিত্রের মধ্যে ডুবে ছিলাম পুরো সময়।
এনটিভি অনলাইন : টেলিফিল্মটি দর্শকনন্দিত হওয়ার পেছনে কোনো কারণ আছে বলে আপনার মনে হয়?
মনোজ কুমার : অনেক ভালো অভিনয়শিল্পীরা এখানে অভিনয় করেছেন। নির্মাণশৈলীও ছিল চমৎকার।
এনটিভি অনলাইন : আপনি তো একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। নাটকের শুটিংয়ের সময় পান কখন?
মনোজ কুমার : আমি তো সব সময় কাজ করি না। বিশেষ দিবসের জন্য বেশি কাজ করা হয়। যখন ছুটি থাকে, তখন শুটিং করি। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ শুটিং থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যক্তিগত ছুটি নিই।
এনটিভি অনলাইন : স্টুডেন্টরা আপনার অভিনীত নাটক দেখে কেমন প্রতিক্রিয়া জানায়?
মনোজ কুমার : আমি তো ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক। ক্যাম্পাসে স্টুডেন্টরা আমাকে অভিনেতার চেয়েও ব্যক্তি হিসেবে বেশি পছন্দ করে। তাঁদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তবে মাঝেমধ্যে স্টুডেন্টরা বলে, ‘স্যার, আপনার ওই কাজটা অনেক ভালো লেগেছে।’
এনটিভি অনলাইন : আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে লেখা আছে ‘আই এম এ ট্রাভেলার’। অবসরে আপনি কি অনেক ঘোরাঘুরি করেন?
মনোজ কুমার : ঘুরতে আমি পছন্দ করি, এটা ঠিক। অনেক জায়গা ঘুরেছিও আমি। তবে এটা লেখার পেছনে আরো বিশেষ কারণ আছে। আমার কাছে জীবনটাকে ট্রাভেলিং মনে হয়। অন্যদিকে, আমি একজন অভিনেতা। আমাকে অনেক চরিত্রে প্রতিনিয়ত ভ্রমণ করত হয়। এখন কী বলবেন, ‘আমি কি ট্রাভেলার নই?’
এনটিভি অনলাইন : সুযোগ পেলে এখন কোথায় ঘুরতে যাবেন?
মনোজ কুমার : যেখানে তুষারপাত হচ্ছে…।
এনটিভি অনলাইন : আপনাকে রোমান্টিক নাটকেই বেশি দেখা যায়। এই ধরনের চরিত্র থেকে বেরিয়ে এসে আলাদা কিছু করতে ইচ্ছে কি হয়?
মনোজ কুমার : খুব ইচ্ছে হয়। এমন এমন চরিত্রে অভিনয় করতে চাই, যেখানে গভীরতা অনেক বেশি থাকবে। থাকবে টানাপড়েন, উত্থান ও পতন। রোমান্টিক হলেও অসুবিধা নেই, তবে তাৎপর্যপূর্ণময় হতে হবে। এ ছাড়া যেকোনো জটিল চরিত্রে অভিনয় করতে আমি প্রস্তুত আছি।
এনটিভি অনলাইন : নাচে-গানে ভরপুর এমন কোনো চলচ্চিত্রে নায়ক হওয়ার প্রস্তাব পেলে হ্যাঁ বলবেন নাকি না?
মনোজ কুমার : বিশ্বাস করুন, এই প্রশ্নের অপেক্ষায় এতক্ষণ ছিলাম। অবশ্যই এই ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয়ে আমার আপত্তি নেই। আমি আত্মবিশ্বাসী। ভালো নাচ ও মারামারিও আমি করত পারব। শুধু ভালো চিত্রনাট্যের অপেক্ষায়। এর বাইরে সিনেমায় গম্ভীর কোনো চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলেও আমি করব।
এনটিভি অনলাইন : পছন্দের কোনো নায়িকা আছে, যাঁর সঙ্গে অভিনয় করতে চান?
মনোজ কুমার : আছে তো। মনে মনে স্বপ্ন দেখছি তাঁর সঙ্গে অভিনয় করার। প্লিজ জানতে চাইবেন না এখন ‘সেই নায়িকা কে?’ নাম বলতে চাই না। যদি তাঁর সঙ্গে কাজ করতে পারি, তখন আপনাকে সবার আগে বলব। প্রমিজ।
এনটিভি অনলাইন : আপনার সমসাময়িক অনেক অভিনেতা আছে ব্যাপক জনপ্রিয়। কাউকে ঈর্ষা হয়?
মনোজ কুমার : একদম না। আমার নিজের সঙ্গেই চলছে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা। কাউকে ঈর্ষা করি না।
এনটিভি অনলাইন : এত রোমান্টিক নাটকে অভিনয় করছেন, শেষ কবে প্রেমের প্রস্তাব পেয়েছিলেন?
মনোজ কুমার : প্রতিদিন প্রেমের প্রস্তাব আসে, কিন্তু আমি রাজি হই না (হাসি)। আপনার সঙ্গে কথা বলার আগেও প্রেমের প্রস্তাব এসেছিল। তবে জানেন কি, আমি চাই প্রেমের প্রস্তাব আসতেই থাকুক। এটা তো অন্য রকম অনুভূতি। সুন্দর অনুভূতি। প্রেম করলাম না, কিন্তু প্রস্তাব আসা বন্ধ হবে কেন? (হাসি)।