ইথিওপিয়ায় জাতিগত সহিংসতায় নিহত ৪৪, বাস্তুচ্যুত ৭০ হাজার
ইথিওপিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে জাতিগত সহিংসতায় অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৭০ হাজার মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ প্রদেশের বাসিন্দারা জানান, গত শুক্রবার পার্শ্ববর্তী অরোমিয়া প্রদেশে বন্দুকধারীরা স্থানীয় চার কর্মকর্তাকে হত্যা করলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ছুরি ও পাথর নিয়ে অস্ত্রধারী যুবকরা মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য করে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার তথ্যমতে, এ বছরের এপ্রিলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ ইথিওপিয়া অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
বেনিশাঙ্গুল-গুমুজের যোগাযোগপ্রধান জেলালেম জালেতার বরাত দিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াল্টা মিডিয়া’ জানায়, অরোমিয়া ও বেনিশাঙ্গুল-গুমুজের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হত্যাকাণ্ড চালানো ওই বন্দুকধারীদের পরিচয় এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দেশটির রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আরেক সহিংসতায় নিহত হন অন্তত ২৪ জন।
সে সময় অরোমোবাসীর সার্বভৌমত্ব ও অধিকারের প্রশ্নে তৎপর ‘অরোমো লিবারেশন ফ্রন্ট’ (ওএলএফ) আদ্দিস আবাবার একাংশে নিজেদের পতাকা উত্তোলন করলে বিরোধী পক্ষের সঙ্গে সহিংসতার সৃষ্টি হয়। বিরোধী পক্ষের দাবি, রাজধানী দখলের জন্য ওএলএফ ওই কাজ করে।
চলতি বছরের এপ্রিলে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ দেশটিতে জাতিগত সহিংসতা বন্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সেগুলো বিপুলভাবে সমাদৃত হলেও এখন পর্যন্ত সহিংসতা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। অরোমো সম্প্রদায়ভুক্ত আবি আহমেদ দেশটিতে চলমান সহিংসতা বন্ধে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে ধারণা করা হয়।