ছেঁউড়িয়ায় চলছে লালন স্মরণ
ভক্ত, অনুরাগী আর বাউল ফকিরদের একতারা, দোতারা, ঢোল, বাঁশির সুর আর আধ্যাত্মিক গানে মুখর কুষ্টিয়ার লালন আখড়াবাড়ি। সাঁইজির তিরোধান দিবসে প্রতিবছরের মতো এবারও জমে উঠেছে লালন স্মরণোৎসব ও মেলা। পাঁচদিনের এ আয়োজন চলবে ৮ মার্চ পর্যন্ত।
যেখানে সাঁইর বারামখানা-লালন সাঁইজির এ বারামখানার সন্ধানে দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্ত-অনুরাগী, দর্শনার্থী ভিড় করেছে লালনের আখড়াবাড়ি কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায়।
মেলায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় রয়েছে লালনের কর্মময় জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনা সভা, লালনশিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান। ১৯৯০ সাল থেকে লালন একাডেমি আনুষ্ঠানিকভাবে এসব আয়োজন করে আসছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মেলার দ্বিতীয় দিন রাতে মূল মঞ্চে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের (খোকসা-কুমারখালী) সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, ‘বাউলসম্রাট লালন শাহ মরে গিয়েও বেঁচে আছেন তাঁর অসংখ্য ভক্তের মাঝে।’ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য লালন একাডেমিকে লাখ টাকা অনুদান দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএমএ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আমিনুল হক রতন, কুমারখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেরা আক্তার, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ মনজুরুল কাদীর।