শিশুদের কিক বক্সিং
শরীরের হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কিক বক্সিং বেশ উপকারী। এটিকে খেলাও বলতে পারেন আবার শরীরচর্চাও বলতে পারেন। এই কিক বক্সিং শরীরের ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলে, এর ফলে শরীরে মেদ জমতে পারে না। মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে। এই ব্যায়াম ধীরে ধীরে শিশু শরীর ও মন নিয়মতান্ত্রিকভাবে গড়ে তোলে। আজ শনিবার (৭ মার্চ ২০১৫) ১৯৬৭তম পর্বে এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের সুস্থ দেহ সুস্থ মন বিভাগে কমব্যাট জিমের প্রশিক্ষক শামীমা আক্তার তুলি দেখিয়েছেন এই ব্যায়াম। সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে ছোট্টবন্ধু লিও এবং কমব্যাট ফিটনেস জিমের প্রশিক্ষক আজম খান।
ব্যায়াম
প্রাথমিক পর্যায়ে (বেসিক মুভ)
- সাহায্যকারীর হাতে বক্সিং প্যাড লাগানো থাকবে। প্রথমে শিশুটি ডান হাত দিয়ে সাহায্যকারীর বাম হাতে আঘাত করবে।
- এরপর বাম হাত দিয়ে সাহায্যকারীর ডান হাতে আঘাত করবে।
- এরপর ডান পা অনেকটা তুলে একটু ঘুরে এসে সাহায্যকারীর দুই হাতের বক্সিং প্যাডে আঘাত করতে হবে। একে রাউন্ড কিক বলা হয়।
এই ব্যায়ামে শক্তি বেশি ব্যবহৃত হয়। পায়ের নমনীয়তা বাড়ে। অধিক মনোযোগ দিতে হয় যেন লাথিটা এদিক সেদিক না চলে যায়।
অগ্রবর্তী পর্যায় (অ্যাডভান্স মুভ)
- সাহায্যকারীর হাতে থাকা প্যাডে পরপর ডান হাত এবং বা হাত দিয়ে আঘাত করবে।
- এরপর বাম পা দিয়ে সাহায্যকারীর ডান হাতে রাখা প্যাডে লাথি দেবে। আবার ঘুরে এসে বাম পা দিয়ে ডান হাতে লাথি দেবে।
সতর্কতা
সতর্ক থাকতে হবে যেন শিশু আহত না হয়। আশপাশে যেন ধারালো কিছু না থাকে সেটিও খেয়াল রাখতে হবে। এই ব্যায়ামে ভারসাম্য বজায় রেখে অনুশীলন করতে হয়। ইচ্ছেমতো করলেই হবে না। অনেকে মারামারি দেখে ভয় পেয়ে যান। ভাবেন, এটা করা শিশুর জন্য উপযোগী হবে কি না। তাই একজন বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষকের কাছে রেখে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিষয়টি শেখা ভালো।