রম্য
ব্যাচেলরদের ১০টি গোপন কথা
ব্যাচেলর লাইফ মানেই অন্য রকম কিছু। এই লাইফে কত কী যে ঘটে। ব্যাচেলরদের মজার কিছু ‘গোপন কথা’ জানাচ্ছেন হাস্যরস প্রতিবেদক।
* মেসে যখন রান্না হয় না, তখন ব্যাচেলররাই পাকা রাঁধুনি বনে যায়। তারা ঝটপট ডিম ভাজি, ডাল আর ভাত রান্না করে এমন ভাব করে খায়, যেন অমৃত খাচ্ছে।
* একটি ডিম ভাজি তিন ভাগ করে খাওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা শুধু ব্যাচেলরদেরই থাকে।
* মেসের ব্যাচেলরদের একজন কমন খালা থাকেন। এই খালা কম বয়সী কিংবা বেশি বয়সীই থাকেন না কেন, সবার কাছে তিনি ‘খালা’।
* প্রতিদিন সকালে ‘খালা’র হাঁকডাকে ঘুম ভাঙে ব্যাচেলরদের। এই হাঁকডাক এ রকম হয়—‘কী এক মেসে আমি রান্না করি রে বাবা। এটা থাকে না, সেটা থাকে না। এ কী জ্বালা।’ ‘আমি চলে গেলে কোন বেটি আইসা এই মেসে রান্না করে, দেখমু নে। আমার রান্না নাকি ভালা হয় না।’ ‘নবাবের পুতগুলা, এবার উইঠা পড়েন। মেসে যে বাজার নাই, সেদিকে একটু নজর দেন’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
* ব্যাচেলররা এক কাপড় টানা তিন দিন পরতে পারে। এ ক্ষেত্রে দুর্গন্ধ দূর করতে সস্তা দরের বডি স্প্রেই তাদের ভরসা।
* বৃহস্পতিবার রাত মেসে থাকা ব্যাচেলরদের জন্য ‘ঈদের রাত’। কারণ, শুক্রবার ছুটি, কাজকর্ম নাই; অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমানো যায়। এই রাতে অনেক মেসেই ব্যাচেলর পার্টি হয়ে থাকে।
* মাসের প্রথম ভাগে ব্যাচেলরদের মনে অফুরন্ত ফুর্তি থাকে। কারণ, হাতে বেতনের টাকা থাকে। মাসের মধ্যভাগে ব্যাচেলররা মনস্থ করে, ‘টাকা তো শেষ হয়ে যাচ্ছে, হিসাব করে খরচ করতে হবে।’ মাসের শেষভাগে পকেটে একশ’ টাকা নিয়ে এক সপ্তাহ চালিয়ে দিতে পারে তারা।
* বাড়িওয়ালা যাতে বাসা ছাড়ার নোটিশ না দেয়, এ জন্য ব্যাচেলররা সকালে-বিকেলে নিয়ম করে বাড়িওয়ালাকে লম্বা সালাম দেয়।
* ব্যাচেলরদের জন্য বাসার পরম আরাধ্য স্থান হচ্ছে ছাদ। কারণ, বাড়িওয়ালা তাদের জন্য ছাদে ওঠা নিষিদ্ধ করে রাখেন। আর নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি তো বাড়তি টান থাকেই।
* একটি ছেলে যখন ব্যাচেলর থাকে, তখন এই ব্যাচেলর জীবন নিয়ে সে হায়-হুতাশ করতে থাকে। সেই ছেলে যখন ‘একা’ থেকে ‘দুকা’ হয়ে যায়, তখন ফেলে আসা ব্যাচেলর জীবনের জন্য হায়-হুতাশ করে।