ভারতে ‘ধর্ষণ সমস্যা’, ছাত্র নিচ্ছে না জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়
ভারতে ‘ধর্ষণ সমস্যা’র জন্য দেশটি থেকে ছাত্র নিচ্ছে না জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়। দুই দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ভারত।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট ভারতীয় গণমাধ্যম ও টুইটারের সূত্র উল্লেখ করে জানায়, ভারতীয় এক ছাত্রের ইন্টার্নশিপের আবেদনের জবাবে লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী অধ্যাপক আনেত্তে জি বিক জিকিংগার ফিরতি মেইলে লিখেন, ভারতীয় ছাত্রদের ধর্ষণ প্রবণতার জন্য তিনি ইন্টার্নশিপের জন্য ভারতীয় ছাত্রদের নিতে অপারগ।
জিকিংগার আরো লিখেন, ‘আমার গ্রুপে অনেক নারী শিক্ষার্থী আছে। আমি এই প্রবণতা সমর্থন করি না।’
এমন উত্তর পেয়ে হতবাক আবেদনকারী ছাত্রটি লিখে পাঠান, ‘অধ্যাপক সবাইকে এককাতারে দেখছেন, যা মোটেও ঠিক নয়।’ জবাবে ওই নারী অধ্যাপক লিখেন, ‘আমি একমত যে বিষয়টি সরলীকরণ করা হচ্ছে এবং তা হয়তো একজনের জন্য প্রযোজ্য নয়। কিন্তু এটা অবিশ্বাস্য যে ভারতীয় সমাজ এই সমস্যার বহু বছর ধরে সমাধান করতে পারছে না।’
গত দুই দিনে ভারতে ফেসবুক ও টুইটারের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে ইমেইলের স্ক্রিনশটটি ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভেবেছিল, স্ক্রিনশটটি হয়তো মিথ্যা। কিন্তু হাফিংটন পোস্ট সংবাদ প্রকাশ করে যে জার্মান নারী অধ্যাপক এই ইমেইলের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।
অবশ্য এর মধ্যে ভারতে জার্মান রাষ্ট্রদূত মিশাইল স্টেইনার অধ্যাপক জিকিংগারকে ইন্টার্নশিপ প্রত্যাখ্যানে তাঁর এই ধরনের মন্তব্যের জন্য নিন্দা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, কোনো পদক্ষেপ নিলে তা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই নেওয়া উচিত। তিনি আরো বলেন, ভারত কখনোই ধর্ষণকারীতে ভরা দেশ নয়।