রোববারের মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মীদের গ্রেপ্তারের দাবি
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সমাবেশে দায়িত্ব পালনকালে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করেছেন সাংবাদিকরা। দোষী ব্যক্তিদের আগামী রোববারের মধ্যে গ্রেপ্তার না করলে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ হয়।
সমাবেশে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরোয়ার বলেন, ‘অবিলম্বে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের গুন্ডাদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে সাংবাদিকরা কলম দিয়ে কুচিয়ে কুচিয়ে মারবে। সেখানে দেখা যাবে সরকারি দলের পতাকার জোর বেশি, নাকি কলমের শক্তি বেশি।’
পুলিশ কমিশনারের উদ্দেশে কলিম সরোয়ার বলেন, রাস্তা পরিষ্কারের ঝাড়ু দিয়ে গুন্ডাদের বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিন। নইলে পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন সাংবাদিকরা।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফী বলেন, ‘আগামী রোববারের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। নইলে নতুন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
সমাবেশে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, যুগ্ম সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি শহিদ-উল আলম ও মোসতাক আহমেদ, বিএফইউজের সহসভাপতি আবু তাহের মুহাম্মদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি মঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত।
টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চিটাগাংয়ের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ ও টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনামুল হক বক্তব্য দেন। বক্তারা অবিলম্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর কয়েকটি সড়ক ঘুরে আবারও প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
গত বুধবার বিকেলে নগরীর লালদীঘি মাঠে আওয়ামী লীগের পদযাত্রা সমাবেশে ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলায় আটজন সাংবাদিক আহত ও লাঞ্ছিত হন। তারা কয়েকটি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ১২ জনকে আসামি করে নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন সাংবাদিকরা।