‘২০৩০ সাল হবে অপার সম্ভাবনার’
২০৩০ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য অপার সম্ভাবনার বছর। কারণ সে সময় দেশের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ থাকবে কর্মক্ষম। আর বাকি এক-তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা থাকবে নির্ভরশীল। এরা শিশু ও বৃদ্ধ। দেশের কর্মক্ষম এই জনগোষ্ঠীকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।
আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের জামাল খান রোডের সিনিয়র্স ক্লাবে স্কিলস্ অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি আয়োজিত ‘কারিগরি শিক্ষার প্রসার : গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেছেন বক্তারা।
আর ২০৩০ সালের মধ্যে মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশকে কর্মক্ষম করতে হলে দেশে কারিগরি শিক্ষার প্রসার বাড়াতে হবে বলে মত দেন বক্তারা।
বৈঠক থেকে জানানো হয়, জাপানে ১৯৭০ সালে মোট জনসংখ্যার কর্মক্ষম মানুষের চেয়ে নির্ভরশীলদের সংখ্যা কম ছিল। একই অবস্থা ছিল কোরিয়ায় ২০০০ সালে, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতে এই অবস্থা সৃষ্টি হবে ২০২০ সালে। আর বাংলাদেশে এই সময় আসবে ২০৩০ সালে। যেহেতু কর্মক্ষম জনসংখ্যার চেয়ে নির্ভরশীলের সংখ্যা সে সময় কম হবে তাই সে সময় দেশে তৈরি হবে অপার সম্ভাবনা। এই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগিয়ে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. ইমরান বৈঠকে অংশ নিয়ে বলেন, জনগোষ্ঠীর বৃহৎ এই অংশকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনসম্পদে রূপান্তর ও কারিগরি শিক্ষার হার ৩০ শতাংশে উন্নীত করা গেলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।
সরকারিভাবে দেশের স্বল্প শিক্ষিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ছয় মাস ও চার মাস মেয়াদি (ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং) কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান সচিব। এর মাধ্যমে দেশে-বিদেশে চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে স্কিলস্ অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রকল্পের ব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরোয়ার, অধ্যাপক শামসুদ্দিন শিশির ও সাংবাদিক এম নাসিরুল হক বক্তব্য দেন।