লেডি ডায়ানা আমার আইডল : ঐশী
চীনের সানাইয়া শহরে অনুষ্ঠিত এবারের মিস ওয়ার্ল্ডের গ্র্যান্ড ফিনালে অংশ নেন বাংলাদেশের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। বাংলাদেশের কোনো প্রতিযোগী এবারই প্রথম গ্র্যান্ড ফিনালেতে লড়েছেন। দেশে ফিরে ঐশী শোবিজে নতুন কোনো কাজ করেননি। ভবিষ্যৎ কাজ নিয়ে ভাবনা ও অন্যান্য অনেক বিষয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ১৮ বছর বয়সী এই মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ।
এনটিভি অনলাইন : কেমন আছেন?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী : খুব ভালো আছি।
এনটিভি অনলাইন : নতুন বছরে আপনার নতুন ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাই।
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী : এখন স্নাতকে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুত নিচ্ছি। যেকোনো একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হব। কোন বিষয়ে পড়ব, সেটা এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি। যাই করি না কেন, পড়াশোনায় মনোযোগ থাকবে সবার আগে। দেশের মানুষের এত ভালোবাসা পেয়েছি যে আমি সত্যিই আনন্দিত। তবে সেইসঙ্গে দায়িত্বও বেড়ে চলেছে। সব মিলিয়ে ভালো কাজ করতে চাই, যা সবাই দীর্ঘদিন মনে রাখবে।
এনটিভি অনলাইন : শুনলাম নাটক ও চলচ্চিত্রের অনেক প্রস্তাব পাচ্ছেন। কবে কাজ শুরু করবেন?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী : যেকোনো সময়ে কাজ শুরু করতে পারি। আমি চিত্রনাট্য অনেক পেয়েছি। সেগুলো পড়ে দেখছি। যদি ভালো লাগে, তাহলেই কাজ শুরু করব। এখনো কিছুটা দ্বিধার মধ্যে আছি।
এনটিভি অনলাইন : সেটা নাটক নাকি চলচ্চিত্র?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী : যেকোনো একটা দিয়ে শুরু করতে পারি। তবে আগ্রহ আমার দুটোতেই রয়েছে। চলচ্চিত্রের অভিনয়ের ব্যাপারে আমার কিছু শর্ত আছে। শুধু গান ও নাচনির্ভর ছবিতে আমি কাজ করতে চাই না। কাহিনীনির্ভর ছবিতে অভিনয় করতে চাই এবং যে ছবি দেখে সবাই বলবে, ‘এটা বাংলাদেশের ছবি’। এটা বললাম কারণ, এখন কিছু ছবি দেখে বোঝা যায় না যে এটা বাংলাদেশের ছবি নাকি কলকাতার ছবি।
এনটিভি অনলাইন : শেষবার হলে গিয়ে কোন ছবিটা দেখেছেন?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী : ‘পোড়ামন ২’। ছবিটা কিন্তু দারুণ হয়েছে।
এনটিভি অনলাইন : এবার মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা জানতে চাই। কেন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী : এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পেছনে আমার বিশেষ একটা কারণ আছে। আমি গতবারের মিস ওয়ার্ল্ড মানুসি চিল্লারকে আইডল ভেবে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলাম। মানুসি চিল্লারের ব্যক্তিত্ব আমাকে মুগ্ধ করেছিল। তবে ব্যক্তিজীবনে লেডি ডায়ানা আমার আইডল ।
এনটিভি অনলাইন : লেডি ডায়ানা কেন?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী : তিনি অনেক ফ্যাশনসচেতন ছিলেন। আমিও ফ্যাশন ভালোবাসি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডায়ানা ছিলেন প্রিন্সেস, তবে তিনি তাঁর জীবন উপভোগ করেছেন অন্যভাবে। প্রচুর মানুষের সেবা করতেন তিনি। আমিও মানুষের সেবা করতে চাই। সমাজের বিশেষ শিশুদের নিয়ে একটা ফাউন্ডেশন করার উদ্যোগ নিয়েছি। সবাই পাশে থাকলে এই কাজ ভালোভাবে আমি করতে পারব।
এনটিভি অনলাইন : প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি হয়ে মিস ওয়ার্ল্ডের গ্র্যান্ড ফিনালেতে লড়েছেন। অনেকে আপনার প্রশংসা করেছেন। সবচেয়ে স্মরণীয় প্রশংসা কী ছিল?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী : মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার আয়োজক একজন সদস্য পল আমাকে বলেছিলেন, ‘তুমি দেশকে নয়, তোমার দেশই বরং তোমাকে জয় করেছে।’ আমি জানি, এ কথার যোগ্যতা আমার এখনো অর্জন হয়নি। তবে আমি চেষ্টা করব নিজেকে যোগ্য করে তোলার। চীনে সবাই আমার সাহস ও আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করেছেন।
এনটিভি অনলাইন : শেষ প্রশ্ন। আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী : মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতার জার্নি আমার জন্য অনেক শিক্ষণীয় ছিল। এখানে শুধু একজন সুন্দরীকে খোঁজা হয় না। সেইসঙ্গে তাঁর ব্যক্তিত্ব ও আচরণ দেখা হয়। একজন আদর্শ মানুষের গুণাবলিও থাকতে হয়। এমন কিছু করতে চাই, যাতে দেশের নাম উজ্জ্বল হয়। নিজেকে পারফেক্ট করতে চাই।