ফেসবুকেই পড়া যাবে খবর
সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা আমাদের প্রতিদিনের জীবনধারাকে যেমন প্রভাবিত করেছে তেমনি পাল্টে দিয়েছে আমাদের জীবনযাত্রার ধরন। প্রায় দেড় শ কোটি ব্যবহারকারী আছে ফেসবুকে।
অনলাইনের পাশাপাশি স্মার্টফোন ডিভাইসগুলোতেও রাজত্ব করছে ফেসবুক। সংবাদ পাওয়ার সূত্র হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে এই মাধ্যম। পৃথিবী বিখ্যাত সব গণমাধ্যমের রয়েছে নিজস্ব ফেসবুক পেজ।
তবে গত কয়েক মাস ধরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অন্তত ছয়টি বড় সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলোচনা করেছে, যেন ফেসবুকেই খবর পড়ার ব্যবস্থা করা যায়। এসব আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের কয়েকজন নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ফেসবুকে খবর পড়া যাবে। এজন্য ফেসবুক থেকে লিংক পেয়ে অন্য কোনো ওয়েবসাইটে আর যেতে হবে না।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে আরো বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে নিউইয়র্ক টাইমস, বাজফিড ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক যোগ দিতে পারে ফেসবুকের সাথে। হাফিংটন পোস্ট এবং ব্যবসা ও অর্থনীতি বিষয়ক ওয়েবসাইট কোয়ার্টজের সাথে আলোচনা করেছে ফেসবুকের কর্তাব্যক্তিরা। তবে এ ব্যাপারে এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি ফেসবুক বা গণমাধ্যমগুলোর কর্তৃপক্ষ।
সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি প্রকাশকদের সাথেও বৈঠক করছে ফেসবুক। যাতে নিউজফিডের মতো করে বইয়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় পাঠকদের জন্য বা ফেসবুকেই বই পড়ার সুবিধা পাওয়া যায়।
ফেসবুক থেকে লিংক পেয়ে আরেকটি ওয়েবসাইটে যেতে গড়ে ৮ সেকেন্ড সময় লাগে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের মতে, এটা দীর্ঘ সময়। বিশেষ করে মোবাইল ডিভাইস দিয়ে যারা ফেসবুক ব্যবহার করেন তাদের জন্য তো অবশ্যই অনেক সময়ের ব্যাপার।
এর বদলে যদি ফেসবুকেই পুরো সংবাদটা পড়ে ফেলা যায় তাহলে ব্যবহারকারীদের সময় বাঁচবে, এর ফলে ব্যবহারকারীরা আরো বেশি সময় ফেসবুকে কাটাবে।
এর আগে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য ফেসবুকে ভিডিও দেখার ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। এতে ভালো সাড়া পায় তারা। ব্যবহারকারীরা যেমন ফেসবুকে বেশি সময় কাটাতে থাকে তেমনি বিজ্ঞাপনদাতারাও ফেসবুকের ব্যাপারে নতুন করে আগ্রহী হয়ে ওঠে।