স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড
নেত্রকোনায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সাথে দুজনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাশেম আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় দেন।
দণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হচ্ছেন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার অতিথপুর গ্রামের মো আলী হোসেন (২৫) ও সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার হরিপুর গ্রামের মামুদ হোসেন মাবুদ (২৫)।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর জি এম খান পাঠান বিমল জানান, অতিথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ও অতিথপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে শাবনুর ওরফে ছুটনী ২০১২ সালের ১৩ জুন দুপুর ১২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়িতে যায়। পরে সে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গ্রামের একটি পাটক্ষেতে তার গলা কাটা লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পরের দিন ১৪ জুন শাবনুরের বাবা জাহাঙ্গীর তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে আলী হোসেন ও মামুদ হোসেনের বিরুদ্ধে বারহাট্টা থানায় মামলা করেন। দুই আসামি ধর্ষণের পর ধান কাটার কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
রায় ঘোষণার পর শাবনুরের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি সুষ্ঠু বিচার পেয়েছেন। এখন এই রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চান তিনি।