রম্য
বর্ষাকালে সাঁতার শিখুন রাস্তাতেই
ঋতু চক্রে বর্ষা আসতে এখনো দেরি আছে। ঢাকাবাসী এরই মধ্যে বর্ষাকালে জলদুর্ভোগ নিয়ে বেশ চিন্তিত। আর এ সমস্যার সমাধানে হাস্যরস কিছু কাকতালীয় সমাধান দিচ্ছে।
১. যেহেতু রাতারাতি পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তাই মিরপুরবাসীকে এখন থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে যে ‘বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ, এ দেশের প্রধান চলাচলের মাধ্যম নদীপথ।’
২. আসছে ঈদে দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন পুরো পরিবার নিয়ে লঞ্চে করে বাড়ি যাবেন। পূর্বের তুলনায় লঞ্চ দুর্ঘটনা কমে গেছে ঠিকই। তবে তার পরেও বাচ্চাদের সেফটির জন্য বর্ষাকালের মৌসুমটি কাজে লাগিয়ে অভিভাবকরা বাচ্চাকাচ্চাদের সাঁতার শিখিয়ে নিতে পারেন। কেননা, মিরপুরে আজকাল পুকুর/ জলাশয় খুঁজে পাওয়া বড়ই কষ্টকর।
৩. বর্ষাকালের রাস্তার পানিতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চলাচল যখন বন্ধ হয়ে যায়, ঠিক সে সময় কড়াই ঝিল প্রকল্পের মতন ওয়াটার বাসের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে একদিকে যেমন সমস্যার লাঘব হবে, অন্যদিকে নগরীর সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।
৪. বর্ষাকালে রাস্তা চলাচলে অনেকেই রিকশা/ ভ্যান থেকে পানিতে পরে কখনো বা ম্যানহলে পরে হাবুডুবু খান। তাদের জন্যই পরামর্শ, আষাঢ় আসার আগেই লাইফ জ্যাকেট কিনে রাখুন। নতুবা পরে দ্বিগুণ অর্থ গুনতে হতে পারে।
৫. বর্ষাকালেও যেসব করপোরেট অফিসে ড্রেসকোড বাধ্যতামূলক, বিশেষ করে সাদা বা হালকা কালারের ইউনিফর্ম যাদের পরতে হয়, তাদের জন্য সুপরামর্শ হলো অফিসের ডেস্কে ইউনিফর্ম রেখে আসুন এবং প্রতিদিন অফিসে পৌঁছে সম্ভব হলে গোসলটা সেরে নিয়ে ইউনিফর্ম পরিধান করুন এবং আসার সময় রেখে আসুন। তবে অবশ্যই সহধর্মিণীকে ব্যপারটা ভালো করে বুঝিয়ে বলবেন।
৬. ওপরের কাকতালীয় ও অযৌক্তিক পরামর্শগুলো আপনার পছন্দ না হলেও লেখকের কিছু আসে-যায় না। তবে অন্তত আপনার এইমাত্র খাওয়া চিপসের প্যাকেট কিংবা খালি পানির বোতলটা ডাস্টবিনে ফেলুন। ডাস্টবিন চুরি হয়ে গেছে বলে মিথ্যা অপবাদ দেবেন না প্লিজ।