পুড়ে গেছে নটরডেম ক্যাথেড্রাল, বেঁচে আছে মৌমাছিরা
ভয়াবহ আগুনে পুড়ে যাওয়া প্যারিসের ঐতিহ্যবাহী নটরডেম ক্যাথেড্রালের ছাদে প্রায় দুই লাখ মৌমাছির বসবাস। ৮৫০ বছরের পুরোনো গির্জাটি যখন আগুনে পুড়ছিল, আর মানুষেরা যখন শোকে আচ্ছন্ন ছিল, তখন মৌমাছিগুলোর কথা মাথায় ছিল না কারোরই। এদিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছাদের অধিকাংশই। এর মধ্যে মৌমাছিগুলো যে বেঁচে থাকবে, সে ধারণাও করেনি কেউ।
কিন্তু হঠাৎ করেই জানা যায়, গির্জার ছাদে বাস করা দুই লাখ মৌমাছির সবগুলোই বেঁচে আছে।
আজ শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
নটরডেম ক্যাথেড্রালের ছাদে মৌমাছিগুলোর দেখাশোনা করতেন নিকোলাস জিয়ান্ট নামের এক ব্যক্তি। তিনি বিবিসিকে জানান, ‘মৌমাছিগুলো বেঁচে আছে এবং গুঞ্জন করছে।’
জিয়ান্ট আরো বলেন, নটরডেম ক্যাথেড্রালে আগুন লাগার পর আমি অনেক শোকগ্রস্ত ছিলাম। কিন্তু যখন জানলাম, মৌমাছিগুলো বেঁচে আছে, তখন অনেক অবাক হয়েছিলাম।’
আগুন মৌমাছিগুলোকে স্পর্শ না করায় সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানান জিয়ান্ট। তিনি বলেন, ‘এটি একটি অলৌকিক ঘটনা।’
২০১৩ সাল থেকে নটরডেম ক্যাথেড্রালের ছাদের তিনটি মৌচাকের দেখাশোনা শুরু করেন জিয়ান্ট।
প্যারিসজুড়ে মৌমাছির সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগের মধ্যে এটি ছিলো একটি অংশ। উচ্চ তাপমাত্রা মৌমাছির জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। জিয়ান্ট বলেন, ‘কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ফলে মৌমাছি মারা না গেলেও তারা মাতাল হয়ে যায় এবং ঘুমিয়ে পড়ে।’
মূলত ধোয়া ব্যবহার করেই কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ ছাড়াও মৌচাক থেকে মধু আহরণের জন্যেও ব্যবহার করা হয় ধোয়া।
ইউরোপের মৌমাছি অন্য প্রজাতিগুলোর চেয়ে আলাদা। বিপদের মুখেও তারা মৌচাক ছেড়ে যায় না। এ ছাড়া তাদের রানীকে রক্ষা করার জন্য কাজ করে যায়।