বাগেরহাটে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত
বাগেরহাটের শরণখোলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বিল্লাল (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি বনদস্যু বিল্লাল বাহিনীর প্রধান বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শরণখোলার ভোলা নদীসংলগ্ন পানিঘাট এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। নিহত বিল্লালের বাড়ি মোরেলগঞ্জের উত্তর সরালিয়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম খোকন ফকির।
বন্দুকযুদ্ধের সময় ফরহাদ মুন্সী নামের একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে পুলিশ। তাঁর বাড়ি বারুইখালী গ্রামে। গোলাগুলির পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫০০টি গুলি উদ্ধার করেছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, রাতে শরণখোলার ভোলা নদীসংলগ্ন পানিঘাট এলাকায় বনদস্যু বিল্লাল বাহিনীর প্রধান বিল্লাল সহযোগী নিয়ে অবস্থান করছিলেন। গোপন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় বনদস্যুরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি শুরু করে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। তিনি বলেন, ঘণ্টাব্যাপী এই বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে বনদস্যুরা পিছু হটে যায়। এর পর পুলিশ সেখানে তাল্লাশি চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক বনদস্যুর গুলিবিদ্ধ লাশ ও আরেকজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন নিহত ব্যক্তিকে বনদস্যু বিল্লাল বাহিনীর প্রধান বলে শনাক্ত করেন।
রেজাউল করিম বলেন, গোলাগুলির পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে শরণখোলা থানার উদ্দেশে রওনা দেয়। তিনি আরো জানান, বনদস্যু আটক ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য শরণখোলা রেঞ্জসংলগ্ন সুন্দরবন এলাকায় র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে।