ঘুষ দিয়ে ভারতে ঢোকেন ধর্ষণে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে ঘুষ দিয়ে সে দেশে প্রবেশ করেন সন্ন্যাসিনী ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন বাংলাদেশি যুবক মোহাম্মদ হাবিবুল। তিনি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় ৭২ বছর বয়সী সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণে গ্রেপ্তার সাতজনের একজন।
ইন্ডিয়া টুডে ডট ইন-এর খবরে বলা হয়, ভারতে অবৈধ অভিবাসী হাবিবুল লুধিয়ানা পুলিশকে জানান, তিনি দুই হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে ভারতে ঢোকেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য বেরিয়ে আসার পর বিএসএফের পেশাদারিত্ব নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
গত শুক্রবার গণমাধ্যমে হাবিবুল বলেন, ‘নাহি সাহাব হামনে এইসা কুচ নাহি কিয়া, বাস ছুটি-মটি চরি কি হ্যায় (না স্যার, আমরা এ কাজ (গণধর্ষণ) করিনি। আমরা ছোটখাটো চুরিতে জড়িত ছিলাম।’
২০ বছরের বেশি বয়সী গ্রেপ্তার হওয়া সাতজন লুধিয়ানা-চন্ডীগড় রাজ্য মহাসড়কে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। ওই বাড়িটি পণ্য পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হতো।
পুলিশ বলেছে, গ্রেপ্তার দুই বিদেশি (বাংলাদেশি) নাগরিক গণধর্ষণে জড়িত। অন্যরা আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের সদস্য যারা প্রতারণা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, লুধিয়ানা পুলিশ দুই বাংলাদেশির জবানবন্দী রেকর্ড করেছে। এ প্রতিবেদন বিএসএফ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।