দ. আফ্রিকায় অভিবাসীদের ওপর হামলা, আতঙ্কে বাংলাদেশিরা
দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসীদের ওপর স্থানীয়দের অব্যাহত হামলার ঘটনায় বিদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানে থাকা বাংলাদেশিরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিদেশিরা এসে স্থানীয়দের চাকরি দখল করছে, এমন ক্ষোভ থেকেই এই হামলার শুরু।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা এই হামলা বন্ধের অঙ্গীকার করেছেন। ডারবান বন্দরে একটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করার পর তিনি এই অঙ্গীকার করেন।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, ডারবানে অভিবাসীদের দোকানে স্থানীয় লোকজনের হামলায় পাঁচজন নিহত হওয়ার পর এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বিদেশিদের পরিচালিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটে লুট হচ্ছে। হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, ভেরুলাম শহরে গত বুধবার ৫৮ বছর বয়সী এক বিদেশির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ব্যক্তির বাড়িতে একদল লোক হামলা চালিয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ পরিষদের সহসভাপতি মো. রেজাউল করিম খান ফারুক বলছিলেন, কয়েকজন বাংলাদেশির প্রতিষ্ঠানেও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। অন্যরাও আতঙ্কে রয়েছেন। তিনি বলছেন, শহরের বাইরে তো বটেই, অনেক শহর এলাকাতেও দোকানপাট বন্ধ আছে। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকেও সবাইকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিবিসি বাংলার খবরে আরো বলা হয়, আফ্রিকান অভিবাসীদের ওপর স্থানীয়দের আক্রোশ থাকলেও অন্য বিদেশিদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটছে। বিদেশি মালিকানার অনেক দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। এসব হামলার প্রতিবাদে জিম্বাবুয়ের হারারেতে কয়েক হাজার বাসিন্দা দক্ষিণ আফ্রিকান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে ।
এ ঘটনায় ইন্দোনেশিয়া সফর বাতিল করে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা ডারবানের চাটওর্থ এলাকায় একটি শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনের পর তিনি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, ‘এই সহিংসতার কারণে অনেকে অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছে। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার মূল্যবোধবিরোধী। বিদেশিদের দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। নিশ্চিতভাবে আমরা এই সহিংসতা বন্ধ করছি।’