সাতজনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরের অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন হত্যা মামলায় সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে বরিশাল দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল। একই সাথে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ হয়।
আজ রোববার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় ঘোষণা করেন। সাজার আদেশপ্রাপ্তরা হলেন কামরুল ইসলাম খান, মনিরুল ইসলাম সান্টু, আল আমিন সিকদার রনি, মিজানুর রহমান খান, রেজাউল তালুকদার, সোহরাব খান ও আজিজুল হক। মামলার অপর তিন আসামি শাহাদাত হোসেন তালুকদার, নাজমুল হক মুরাদ ও মো. মোর্শেদকে বেকসুর দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় কামরুল ইসলাম খান, মনিরুল ইসলাম সান্টু ও রেজাউল তালুকদার আদালতে উপস্থিত থাকলেও বাকিরা পলাতক। আসামিদের সবার বাড়ি পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সেরাঙ্গল গ্রামে। নিহত অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিনের বাড়িও ওই গ্রামে।
আদালতের নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যুবকের গ্রাহকদের টাকা গিয়াস উদ্দিনের কাছে গচ্ছিত ছিল। যুবকের পাওনা টাকা চাইতে গেলে বিরোধের জের ধরে ২০০৯ সালের ৯ অক্টোবর বেলা ১১টায় গিয়াসউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে আসামিরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আল-আমিন খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউখালী থানার এসআই শহীদুল ইসলাম ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৩ সালে মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চাঞ্চল্যকর হিসেবে শনাক্ত করে বরিশাল বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই মামলায় ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।