বরগুনার মেয়ের বিরুদ্ধে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঢাকার আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকায় দিনমজুর বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বরগুনা সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
নিহত শহীদ খান বরগুনার সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামের বাসিন্দা। তিনি টাইলসমিস্ত্রির কাজ করার জন্য মেয়ে হালিমা বেগমকে নিয়ে আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার রাতে তুচ্ছ ঘটনায় বাবার সঙ্গে মেয়ের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মেয়ে হালিমা ধারালো বটি দিয়ে বাবা শহীদ খানের মাথায় একটি কোপ দেন। কোনো চিকিৎসা না পেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান শহীদ খান। ঘটনা ধামাচাপা দিতে বাড়ির মালিক হানিফ মিয়ার সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে বরগুনার বুড়িরচড় ইউনিয়নের কামারহাটের নিজ বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন দিতে চান মেয়ে হালিমা। কিন্তু এলাকাবাসী শহীদ খানের মাথায় কোপের চিহ্ন দেখে হালিমার কাছে মৃত্যুর কারণ জানতে চান। কিন্তু তিনি কোনো সদ্যুত্তর দিতে পারেননি। এ কারণে তাঁকে আটক করে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শহীদ খানের মৃত্যুর ব্যাপারে ছেলে মুছা খানকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমি প্রথমে শুনেছি, স্ট্রোক করে মারা গেছেন। আমার কাছে কেউ কিছু বলেননি। কিন্তু বাড়ি আনার পর দেখি, আব্বার মাথায় দায়ের কোপের আঘাত।’
মেয়ে হালিমা বেগম দাবি করেন, তাঁর বাবা টাইলস মিস্ত্রির কাজ করতেন। তিন-চারদিন আগে কাজ করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান। এতে তাঁর মাথা সামান্য কেটে যায়। তাঁর বাবার মাথায় ওই আঘাত কোপের না বলেও তিনি দাবি করেন। মাথায় আঘাত পাওয়ার পর তিনি নিজে তাঁর বাবাকে হাসপাতালেও নেননি বলে স্বীকার করেন।
এলাকাবাসী জানান, তাঁরা শুনেছেন, শহীদ খানের মেয়ে হালিমা বেগম দা দিয়ে কুপিয়ে তাঁর বাবাকে হত্যা করেছেন। তাঁরা এর বিচার চান।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির হোসেন মাহমুদকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘ঘটনা যেহেতু ঢাকার সাভার এলাকায়। তাই এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’