পাকিস্তানে বিনিয়োগে এগিয়ে যাবে চীন
পাকিস্তানে চার হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে চীন। অন্যদিকে, দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার। চীনের ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে তারা পাকিস্তানেবিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে কয়েক গুণ এগিয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদর দপ্তর পেন্টাগন এ তথ্য জানিয়েছে।
পেন্টাগনে পাকিস্তানবিষয়ক দপ্তরের প্রধান ডেভিড এস সিডনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ পাকিস্তানের ওপর কৌশলগত প্রভাব ফেলতেও ব্যর্থ হয়েছে।
কয়েকজন পশ্চিমা কূটনীতিক যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে বলেন, পাকিস্তানে বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে জোট গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগের বিরুদ্ধে চীনের প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখা উচিত।
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সিডনি বলেন, ২০০৯ থেকে পাঁচ বছরে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য পাকিস্তানকে ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি মনে করেন, এই প্রণোদনা ‘নাটকীয়ভাবে ব্যর্থ’ হয়েছে। কারণ, সহায়তার ওই অর্থ এতটাই বিচ্ছিন্নভাবে ব্যবহার হয়েছে যে বাস্তবে এর কোনো কৌশলগত প্রভাব পড়েনি।
এই কর্মকর্তা আরো বলেন, চীনারা মনে হয় এই আমেরিকান প্রোগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়েছে। একটি কৌশলগত ফলাফল পেতে, বিশেষ করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রণোদনা দিয়েছিল, যা ব্যর্থ হয়েছে। চীন প্রণোদনা দিচ্ছে অবকাঠামোসহ বিশেষ কয়েকটি খাতে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, চীনের দেওয়া এই ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সড়ক, রেলপথ ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ব্যয় করা হবে। পাকিস্তানে এসব অবকাঠামো নির্মাণের জন্য চীনা প্রকৌশলীরা যাবেন। তাঁরা সেখানে ১৫ বছর কাজ করবেন।