বান্দরবানে ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
বান্দরবানে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আপস না করায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ১০ দিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রাশেদ বান্দরবান সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম টিটু ও দৈনিক আজকের চট্টগ্রাম পত্রিকার প্রতিনিধি নূর হোসেন।
হামলার শিকার সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, গত ২১ এপ্রিল বাজারের পৌর শপিং কমপ্লেক্সের সামনের রাস্তায় প্রকাশ্যে চালের বস্তা পরিবর্তনের ছবি তুলতে গেলে চোরাকারবারিরা সাংবাদিক নজরুল ইসলাম টিটু ও নূর হোসেনের ওপর লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এতে নজরুল ইসলামের হাত ভেঙে যায়। ওই ঘটনায় রাতেই নজরুল ইসলাম টিটু বাদী হয়ে চাল ব্যবসায়ী সাইফুদ্দিন হিরু ও কবির আহম্মদকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। কিন্তু পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। উল্টো পুলিশ নানাভাবে ঘটনাটি আপস করতে সাংবাদিকদের চাপ দেয়। এমনকি প্রভাবশালীদের দিয়েও মীমাংসা করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আপস না করায় চাঁদাবাজির সাজানো মামলা করা হয়েছে।
এদিকে বান্দরবানে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠনগুলো। আজ শুক্রবার সকালে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যাপক মো. ওসমার গনির সভাপতিত্বে বান্দরবানের কর্মরত সাংবাদিকরা জরুরি সভায় বসেন। সভায় স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং নিন্দা জানান। সাংবাদিকদের দাবি, অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করতে আরো উৎসাহ পাচ্ছে।
বান্দরবানে একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর হামলা হলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ঐক্যবদ্ধভাবে সাজানো মামলা মোকাবিলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে মামলা করেছে। তবে ব্যবসায়ীরা ঘটনাটি আপস মীমাংসা করতে সময় নেওয়ায় মামলা করতে দেরি হয়েছে।