চীনা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক উইবোর অজানা পাঁচ
মার্কিন গোয়েন্দাগিরির ব্যাপারে চীন সদা সতর্ক। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় দুই দেশের হ্যাকারদের মধ্যে হ্যাকিং -পাল্টা হ্যাকিং চলছেই। মার্কিন পণ্য বলে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব সবই বন্ধ করে রাখা হয়েছে চীনে। কিন্তু এই সময়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বন্ধ রাখা মানে ঘরের দরজা -জানলা বন্ধ করে শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়ার মতোই। সে জন্যই চীনা ব্যবহারকারীদের জন্য চীনা ভাষায় প্রস্তুত করা হয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ‘উইবো’। ফেসবুক ও টুইটারের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। কী আছে এই সাইটে? উইবো র বিষয়ে পাঁচটি বিষয় জেনে নেওয়া যাক :
১. আসল নাম সিনা উইবো
উইবো সংক্ষিপ্ত নাম। সাইটটির পুরো নাম হচ্ছে সিনা উইবো। এটিকে মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট বলছে চীনা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আরেকটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টেনসেন্ট উইবো। টুইটারের মতো মাত্র ১৪০ শব্দ লেখা যাবে এই সাইটে। থাকবে হ্যাশট্যাগ, লাইক, ইমোটিকন, ছবি, মিউজিক এবং ভিডিও শেয়ারিংয়ের সুযোগ।
২. চীনে বন্ধ ফেসবুক-টুইটার
ফেসবুক ও টুইটার বন্ধ থাকায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য চীনাদের একমাত্র অবলম্বন এখন উইবো। সে কারণেই দিন দিন এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
৩. চীনের অন্যতম জনপ্রিয় সাইট
চীনের ৩০ শতাংশেরও বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী উইবো ব্যবহার করেন। গুজব রয়েছে, চীনা ভাষার পাশাপাশি উইবোর একটি ইংরেজি সংস্করণ নির্মাণের কাজ চলছে। তবে ইংরেজি সংস্করণ এখনো সবার জন্য উম্মুক্ত করা হয়নি।
৪. বেশি সময় ব্যবহারে পুরস্কার
বেশি সময় উইবোতে কাটালে রয়েছে পুরস্কার। সেই সাথে বেশি মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখলে এবং বেশি ব্র্যান্ডে লাইক দিলে রয়েছে আলাদা পুরস্কার।
৫. সেন্সরড কনট্যান্ট
চীনা সরকারের সেন্সর কনট্যান্ট নীতিমালা কঠোরভাবে মেনে চলে উইবো। বিশেষ বিশেষ কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে উইবোর ওয়েবসাইট থেকে মুছে যাবে। স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর ক্ষেত্রেও একই নীতিমালা গ্রহণ করেছে উইবো। তবে অন্যান্য সাইটের চেয়ে উইবোতেই চীনা সরকারের সমালোচনা বেশি হয়। আর এতে কোনো আপত্তি নেই সরকারের তরফ থেকে।