মঙ্গলবার থেকে ইয়েমেনে অস্ত্রবিরতি : সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইয়েমেনে মঙ্গলবার থেকে অস্ত্রবিরতি শুরু হচ্ছে। মানবিক কারণে এই অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল জুবেইর। একই সাথে তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, বিদ্রোহীরা চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করলেই ফের বিমান হামলা শুরু করবে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট।
গতকাল শুক্রবার প্যারিসে উপসাগরীয় দেশগুলোর মন্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জুবেইর বলেন, ‘১২ মে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে অস্ত্রবিরতি শুরুর বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ অস্ত্রবিরতি পাঁচদিন কার্যকর থাকবে।’
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি বলেন, “এই অস্ত্রবিরতি একটি ‘নবায়নযোগ্য বিষয়’। যদি দুই পক্ষের মধ্যে সদিচ্ছা বজায় থাকে তবে এটা বাড়ার সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত থাকবে।”
যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে কেরি আরো বলেন, ‘যদি কেউ ইয়েমেনের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে তবে অস্ত্রবিরতি ভেঙে গেলে দেশটিতে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে, সে বিষয়টিও তাঁকে ভেবে দেখতে হবে।’
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুবেইরও এ কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, এই অস্ত্রবিরতির সফলতা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ইরান সমর্থিত শিয়া হুতি বিদ্রোহী ও তাদের মিত্রদের ওপর।
গত ২৬ মার্চ ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সেখানে ত্রাণ তৎপরতা চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে নেওয়ার পর গোটা দেশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায়।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আগামী এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইয়েমেনে জ্বালানি সংকট দেখা দিতে পারে।