‘যেন অদৃশ্য ভূতেরা মানুষ পুড়িয়েছে’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া মধ্যযুগীয় কোনো মহারানি নন যে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না। গণতন্ত্রে আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আমার ছেলেও যদি অপরাধ করে থাকে, তাকে আদালতে দাঁড়াতে হবে।’
আজ শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের প্রসঙ্গ টেনে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আগুন-যুদ্ধ তো হয়েছে এবং আগুন-যুদ্ধের নেতৃত্ব খালেদা জিয়া দিয়েছেন। অনেক মানুষ আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে, আমাদের কাছে তথ্য আছে ছয় শর বেশি বিএনপি এবং জামায়াতের কর্মীরা হাতেনাতে ধরা পড়েছে। তাদের বহুজনের স্বীকারোক্তি আছে।’
এসবের পরেও খালেদা জিয়া সব অস্বীকার করছেন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এমন ভাবটা করছেন যে আগুন-যুদ্ধ যেন বাংলাদেশে হয়নি। এবং মানুষ যেন পোড়ানো হয়নি। এই যে মানুষ পোড়ানোর ঘটনা যেন অদৃশ্য ভূতেরা মানুষ পুড়িয়েছে। তা অদৃশ্য ভূতদের তো আর মামলা করতে পারব না। সুতরাং উনি যেন ধোয়া তুলসীপাতা। উনি বেশ ফিটফাট হয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবার গণতন্ত্রের ওড়না পরে হালাল হওয়ার চেষ্টা করছেন।’
নিজের বিরুদ্ধে মামলাকে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বলে চালানোর চেষ্টা করছেন জানিয়ে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘আমরা কাউকে হয়রানি করি না। আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হয় গণতন্ত্র থাকবে আর না হলে বাংলাদেশ আগুন-সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদীদের কাছে তালেবানদের মতো ইজারা দিতে হবে। সুতরাং আমরা মনে করি গণতন্ত্র যদি চান তাহলে তালেবানের মতো, আগুন-সন্ত্রাসী এবং জঙ্গিবাদীদের বাংলাদেশে আমরা রাখব না।’
জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে ইনু বলেন, ‘আমরা তো পশু না যে একজনকে ধরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেব। জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জন্য, যুদ্ধাপরাধের জন্য জামায়াত ইসলামকে রাজনীতির বাইরে ফেলে দেওয়ার জন্য, নিষিদ্ধ করার জন্য যে সিদ্ধান্তটা সেটা আইনগতভাবেই আমরা দেখছি। আমরা মনে করি, গণতন্ত্রকে যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হয় তাহলে এই সাম্প্রদায়িক জামায়াতে ইসলামীকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করাই উচিত।’
এ সময় তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।