শরণার্থী কোটার প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় কমিশন
ইউরোপে অবৈধভাবে শরণার্থী প্রবেশ বন্ধে ইউরোপীয় কমিশন একটি প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে। প্রস্তাবে ইউরোপের দেশগুলোর জন্য কোটা পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইউরোপীয় কমিশনের শরণার্থী নীতি আগামী বুধবার ঘোষণা করা হবে। সংস্থাটি বৈধভাবে ইউরোপের যাওয়ার উপায় নিয়েও প্রস্তাব দেবে, যাতে শরণার্থীদের মানব পাচারকারীদের কবলে পড়তে না হয়।
বিবিসি জানিয়েছে, চলতি বছর প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে নির্মম নির্যাতনের শিকার শরণার্থীরা পাড়ি দিচ্ছে ইউরোপের উদ্দেশে। চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে এক হাজার ৮০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
তবে প্রস্তাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সমর্থন লাগবে। আগামী জুনে ইউরোপের নেতারা এটি নিয়ে আলোচনায় বসবেন।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রস্তাবটি সহজেই অনুমোদিত হবে না, কারণ যুক্তরাজ্য এই ধারণার জোরালো বিরোধিতা করে।
কোটা রাখা হবে বিভিন্ন বিষয়কে বিবেচনায় রেখে : দেশের জনসংখ্যা, অর্থনৈতিক সূচক এবং এর আগে যতসংখ্যক আশ্রয় সন্ধানকারীদের গ্রহণ করা হয়েছে।
এই কোটা পদ্ধতির প্রতি শক্ত রয়েছে জার্মানি। গত বছর দেশটি দুই লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রস্তাবিত এসব উদ্যোগ ভূমধ্যসাগরে শরণার্থীদের ডুবে মরা ঠেকাতে।
স্থানীয় সময় আজ সোমবার ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মগেরিনি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লিবিয়ার বাইরে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগের জন্য অনুমতি চাইবেন।
এই অনুমতি ছাড়া পাচারকারীদের নৌযান ধ্বংস বা বন্ধ করতে লিবিয়া ও আন্তর্জাতিক জলসীমায় সামরিক পদক্ষেপ নিলে তা হবে বেআইনি।