ঢাকা-চট্টগ্রাম পৃথক রেল লাইন স্থাপন করা হবে : রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেছেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাতায়াতের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে আনতে কুমিল্লা হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম পৃথক রেল লাইন স্থাপন করা হবে। তিনি আজ সোমবার রাজধানীর রেল ভবনে ‘কুমিল্লা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকা’র নেতাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব দিদারুল আলমের পরিচালনায় এ সময় বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক কুদরাত-ই-খোদা, সদস্য শহীদুল ইসলাম, হালিম মোহাম্মদ, শরীফুল ইসলাম, তোফায়েল হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, রিয়াজ চৌধুরী, বদিউল আলম, তাওহীদুল ইসলাম, সায়ীদ আবদুল মালিক, এম. মোশাররফ হোসাইন, সালাহ উদ্দিন জসিম, কামরুজ্জামান বাবলু, জসিম উদ্দিন ও মোস্তফা কামাল মামুন।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রশাসক আলহাজ ওমর ফারুক, বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক জিএস জাকির হোসেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘নতুন রেল লাইন স্থাপিত হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি স্ট্যান্ডার্ড ডুয়েল গেজ এক্সপ্রেস ট্রেন (বুলেট ট্রেন) চলাচল করবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলাচলের সময় এই ট্রেন কুমিল্লার ময়নামতি স্টেশনে (জাঙ্গালিয়া)একটি যাত্রা বিরতি দেবে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং চীন সরকারের সাথে এ ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটি অর্থায়নের জন্য সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া গেলে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।’
রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে গতিশীল করতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে রেলপথের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
মুজিবুল হক বলেন, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন। তাঁর এই সফরকালে ভারতের অর্থায়নে খুলনা-মংলা রেললাইনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কথা রয়েছে। এই প্রকল্পটিসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অধীন বর্তমানে ১২টি প্রকল্প ভারতের অর্থায়নে চলমান রয়েছে।
মুজিবুল হক বলেন, সরকার দেশের সব অঞ্চলকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রেল নেটওয়ার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে ঢাকা-পদ্মা রেল লিংক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পেও চীন সরকার অর্থায়নে সম্মত হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে মাওয়া, জাজিরা ও ফরিদপুরের ভাঙা হয়ে খুলনা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী ও রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত এবং দোহাজারী হয়ে গুনদুম পর্যন্ত আরো একটি রেললাইন স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। তিনি দেশের উন্নয়ন তথা কুমিল্লার উন্নয়নে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি মহল দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়- এদের ব্যাপারে সাংবাদিকদের সজাগ থাকতে হবে।
ঢাকায় কর্মরত কুমিল্লার সাংবাদিকরা অবিলম্বে কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা, ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, কোটবাড়ী পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, চাকরি ক্ষেত্রে জেলা কোটা বিলুপ্তি, কুমিল্লাকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।