একসঙ্গে সেই তিন ভাইয়ের শেষকৃত্য
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য হলো খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মনারটেক এলাকার তিন সহোদরের। গত রোববার রাত ১২টায় শৌচাগারের গর্তে পড়ে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে প্রাণ হারান ভোরের কাগজের মহালছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি প্রদীপ শশী চাকমা, তাঁর আপন দুই ভাই সেভেন্টু চাকমা ও উবেন্টু চাকমা।
মনাটেক গ্রামে পারিবারিক শ্মশানে তিন ভাইকে দাহ করা হয়। এ সময় তিন ভাইকে এক পলক দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ ছুটে আসেন। তিন ছেলে একসাথে হারিয়ে তাঁর মা সাধন পতি চাকমা পাগলপ্রায়। শোকে তিনি আর কিছুই বলতে পারছেন না।
গত রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মহালছড়ি উপজেলার মনাটেক গ্রামের বাসিন্দা উবেন্টু চাকমা (৩২) ঘর থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত শৌচাগারে গেলে অসাবধানতাবসত হাত থেকে মোবাইল ফোন গর্তে পড়ে যায়। পরে শৌচাগারের ঢাকনা খুলে মোবাইল ফোন তুলতে গর্তে নামেন তিনি। গর্তে বিষাক্ত গ্যাসের কারণে আর উঠে আসতে পারেননি তিনি। এ সময় তাঁর আসতে দেরি হচ্ছে দেখে স্ত্রী খোঁজ নিতে গিয়ে দেখেন, তাঁর স্বামী গর্তে পড়ে গেছেন। এ খবর পেয়ে উবেন্টুর দুই ভাই সেভেন্টু চাকমা (৩৫) ও ভোরের কাগজের মহালছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি প্রদীপ শশী চাকমা (৩৮) ছোট ভাইকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁরাও একই গ্যাসের কারণে প্রাণ হারান।
তিন ভাইকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রতিবেশী রিপন চাকমা (২০) বাবলু চাকমা (২২) নামে আরো দুজন শৌচাগারের গ্যাসক্রিয়ায় অসুস্থ হন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তাঁরা বাড়ি ফিরে গেছেন।