মাইক্রোতে ধর্ষণের কথা ‘স্বীকার’ আটক দুজনের
রাজধানীতে মাইক্রোবাসে তরুণী ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন আটক ব্যক্তি বলে জানিয়েছে র্যাব। এরা হলেন মো. আশরাফ খান তুষার (৩৫) ও মাইক্রোবাসের চালক মো. জাহিদুল ইসলাম লাভলু (২৬)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুজনকে ঢাকা ও পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে আটক করে র্যাব।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় র্যাবের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এসব কথা জানান। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আশরাফ খান তুষার ও মাইক্রোবাসের চালক মো. জাহিদুল ইসলাম লাভলু ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, প্রধান আসামি তুষারের সঙ্গে ১৭ মে ওই আদিবাসী তরুণীর প্রথম দেখা হয়। তুষার দুজন বিদেশিসহ রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে একটি পোশাকের দোকানে যান। আদিবাসী তরুণীটি ওই দোকানে বিক্রয়কর্মীর কাজ করতেন। পরে সেদিনই তুষার মেয়েটির কাছ থেকে তার ফোন নম্বর নিয়ে নেন। ১৮ মে তিনি মেয়েটিকে ফোন দিয়ে চাকরি পরিবর্তন করতে চান কি না সে বিষয়ে কথা বলেন। ২০ মে ফোন দিয়ে একই কথা বলেন এবং ২১ মে চাকরির সিভি নিয়ে নির্ধারিত সময়ে বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে বলেন।
পরে ২১ মে ঘটনার দিন মেয়েটি অফিস শেষে সিভি নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করেন। সে সময় তাঁরা মেয়েটিকে গাড়িতে উঠতে বললে মেয়েটি তাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে তাঁরা জোর করে মেয়েটি গাড়িতে তোলেন। এ সময় ওই দুজন ছাড়া গাড়িতে আর কেউ ছিল না বলে অভিযুক্ত তুষার ও লাভলু জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে জানান র্যাব কমান্ডার।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, তরুণীর এক আত্মীয় তাঁকে পাঁচজন না হলে থানায় মামলা নেওয়া হয় না জানান। এ কারণে মেয়েটি অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনের নামে মামলা করেন।
গত ২১ মে রাজধানীর কুড়িল বাসস্ট্যান্ড থেকে এক আদিবাসী নারীকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। ২১ বছর বয়সী ওই গারো নারী কাজ শেষে উত্তরার বাসায় যাওয়ার জন্য কুড়িল বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। নির্যাতিত নারী ২২ মে রাজধানীর ভাটারা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী একজনের নাম জানিয়েছিলেন।