বছর পেরোলেও শেষ হয়নি তদন্ত
পাবনার আতাইকুলা উপজেলায় বহুল আলোচিত চার আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যার এক বছরেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। মামলার আসামিদের বেশির ভাগই এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
২০১৪ সালের ৩১ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুষ্পপাড়া বাজারে বসে চা খাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা গুলি করে চার আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যা করে। নিহতরা হলেন আওয়ামী লীগ কর্মী সুলতান মাহমুদ (৩০), আবদুস সালাম (৩৫), ফজলুর রহমান (৩২) ও রফিকুল ইসলাম (৩৮)।
মামলার বাদী নিহত সুলতানের চাচাতো ভাই জহুরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরের দিন ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ১৮ জনকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে সাতজন জামিনে মুক্তি পান।
এদিকে, বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শেষ করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জহুরুল।
এ বিষয়ে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফাইজুর রহমান বলেন, পুষ্পপাড়া হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে এলাকার চরমপন্থী নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ ছাড়া আরো কয়েকটি দিক নিয়ে তাঁরা তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মুনিরুজ্জামান জানান, দুজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। তাঁরা কারাগারে আছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় চরমপন্থীদের প্রত্যক্ষ মদদ ছিল বলে পুলিশ অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে। তাঁদের জবানবন্দীতে অনেক চরমপন্থীর নামও এসেছে। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান এসআই।
এদিকে, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মামলার তদন্তকাজের ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ওসি ফাইজুর রহমান বলেন, মামলার তদন্তে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে সময় লাগবেই। পুলিশ হত্যাকারীদের অনেককেই শনাক্ত করেছে। খুব শিগগির মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।