বান্দরবানে ছাত্রলীগের সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষ
বান্দরবানে ছাত্রলীগের সম্মেলনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় সভাপতিসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চেয়ার-টেবিল ও যানবাহন ভাঙচুর করেন। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আজ শনিবার বিকেলে স্থানীয় রাজার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।urgentPhoto
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহরের রাজার মাঠে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন চলাকালে সভাপতি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থিত নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এ সময় অপর পক্ষের নেতাকর্মীরা পাল্টা ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগসহ ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলের চেয়ার-টেবিল, গেট ও যানবাহন ভাঙচুর করেন। চলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও।
সংঘর্ষে ছাত্রলীগের সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে।
এদিকে সংঘর্ষের পর পুলিশি পাহারায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বান্দরবান ত্যাগ করেন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বান্দরবান শহরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, সম্মেলনে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ হামলা চালালে দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। অনেকে আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ছাত্রলীগকর্মী সোহরাব হোসেনসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর বাহাদুর বলেন, ‘ছাত্রলীগে কোনো সন্ত্রাসীর ঠাঁই নেই। হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনকে ঘিরে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন চৌধুরী সঞ্জয়সহ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
ঘটনার পর ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী আহসানুল আলম রুমুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা সম্মেলন প্রত্যাখ্যান করে স্মারকলিপি দিয়েছেন। সম্মেলন পণ্ড হওয়ায় ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করেননি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি। তিনি বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয়ভাবে বান্দরবান জেলা কমিটি করার ঘোষণার ঘোষণা দেন।
ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজাউল করীম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জনি সুশীলকে মনোনীত করা হয়। খবরটি জানাজানি হওয়ার পর সম্মেলন প্রত্যাখ্যান করে বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মীরা হামলা চালান।