মোদি-খালেদা জিয়ার আলাপ জাতি জানতে চায় : হানিফ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে কী বিষয়ে আলাপ হয়েছে তা জাতি জানতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। আজ বুধবার সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভা অডিটরিয়ামে করদাতা উদ্বুদ্ধকরণবিষয়ক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন তিনি।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি প্রসঙ্গে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘উনারা যেমন জানতে চেয়েছেন ২২টি চুক্তির বিষয়ে। আমরা অবশ্যই বলি যে, ২২টি চুক্তির বিস্তারিত তথ্য এটা যে কেউ জানতে পারে। এবং সেটা জেনেছেও। কিন্তু জাতি যেটা জানতে চায় যে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির একান্ত বৈঠকে কী আলাপ হয়েছিল, সেটা একটু জাতি জানতে চায়। ওখানে কী বলেছিলেন সে বিষয়ে উনারা যদি বলেন বা উনার নেত্রী যদি খোলাসা করে বলেন তাহলে জাতি উপকৃত হবে।’
এ সময় বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বিএনপির সাথে আলোচনার কী আছে? বিএনপি একটি গণধিকৃত রাজনৈতিক দল হিসেবে চিহ্ণিত হয়েছে। যার নেত্রী রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের নেত্রী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। ক্ষমতার বাইরেও তিনি পেট্রল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসের নেত্রী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। বিএনপি নেত্রী বার বার ভুল সিদ্ধান্তই দিয়েছেন। অতএব এই ব্যর্থ নেত্রী এবং এই জঙ্গিনেত্রীর সঙ্গে আলাপ করে দেশের কোনো উপকার হবে না। আমি মনে করি না যে, এর কম কোনো ব্যর্থ নেত্রীর সাথে আলাপেরও কোনো প্রয়োজন আছে।’
তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ টেনে হানিফ বলেন, নরেন্দ্র মোদি আসার ১৫ দিন আগেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুজনেই বলেছিলেন যে, এই যাত্রায় এই সফরের সময় তিস্তা চুক্তি হবে না। এটা তো এজেন্ডার মধ্যেই ছিল না। অতএব এটা হবে না সেটা তো সবাই জানে। যেটা হবে না, এজেন্ডায় নেই সেইটা নিয়ে উনারা বলছেন, জাতি হতাশ হয়েছে। আসলে জাতি হতাশ হয় নাই। জাতি বরং ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির এই সফরে উচ্ছ্বসিত। দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো অনেক উচ্চতর মাত্রায় পৌঁছে গেছে এবং তিস্তার পানি চুক্তি সমস্যার সমাধান হবে।’
হানিফ অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেত্রী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন গঙ্গার পানি চুক্তির এজেন্ডা নিয়ে ভারত সফর করেছিলেন। কিন্তু দেশে ফিরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়টি তাঁর নাকি মনেই ছিল না।
কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটর যশোরের কমিশনার জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ক সেমিনারে জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, কুষ্টিয়া চেম্বারের সভাপতি রবিউল ইসলাম ও বিআরবি গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মজিবর রহমানসহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।