টাকা না দিলে পরীক্ষায় ফেল, অপসারণের দাবি
টাকা না দেওয়ায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় ১৫ শিক্ষার্থীকে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ এনে কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল বিভাগের প্রধান আবদুল মান্নানের অপসারণের দাবি জানিয়েছে কয়েক শ শিক্ষার্থী।
দাবি আদায়ে আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়া ডিসি কোর্ট চত্বরে জেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করা হয়।
এতে কুষ্টিয়ার বেসরকারি কামরুল ইসলাম সিদ্দিক ইনস্টিটিউট, সিটি পলিটেকনিক, আইডিয়াল পলিটেকনিক ও দর্পণ পলিটেকটিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা জানায়, জেলার সবগুলো বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল বিভাগের প্রধান আবদুল মান্নানের কাছে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্সের সমাপনী ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হয়। এ কারণে তাঁর মন-মর্জির ওপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ। আবদুল মান্নানকে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত টাকা না দিলে ফেল করিয়ে দেন।
২০১৪ সালের সমাপনী পরীক্ষায় তত্ত্বীয় বিষয়ে পাস করলেও আবদুল মান্নানকে টাকা না দেওয়ায় কামরুল ইসলাম সিদ্দিক ইনস্টিটিউটের ১৫ শিক্ষার্থীকে ফেল করিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে মামলা হয়েছে। আবদুল মান্নানের এই স্বেচ্ছাচারিতার হাত থেকে বাঁচতে এবং তাঁর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন থেকে বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল মান্নান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা মনে করে ব্যবহারিক পরীক্ষায় হাজির হলেই পাস। এটি ঠিক নয়। বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ব্যবহারিক পরীক্ষার অবকাঠামো না থাকায় সেখানকার শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ব্যবহারিক দিতে পারে না। এ কারণে তারা বেশি ফেল করে।’
স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, ‘কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলেছি। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’