মালয়েশিয়ায় জঙ্গলে উদ্ধার মরদেহের যথাযথ দাফন
জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের অভিবাসনপ্রত্যাশী ২১ জনের দেহাবশেষ যথাযথভাবে দাফন করেছে মালয়েশিয়া। আজ সোমবার এই দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাহিদ হামিদি এসব তথ্য জানান।
গত মাসে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে উদ্ধার হওয়া ১০৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীর দেহাবশেষ উদ্ধার করে মালয়েশিয়ার পুলিশ। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাচারকারীদের নির্যাতন, ক্ষুধা ও রোগে ভুগে ওই ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়েছে।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে চ্যানেলনিউজএশিয়া জানিয়েছে, জঙ্গলে পাচারকারীদের ক্যাম্প ও এর আশপাশ থেকে উদ্ধার হওয়া ১০৬টি দেহাবশেষের মধ্যে ২১ জনকে সোমবার যথাযথভাবে দাফন করা হয়েছে। পারলিস রাজ্যে উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষগুলো বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকদের। অধিকাংশ দেহাবশেষই শনাক্ত করা হয়েছে।
আজ মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টের বাইরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ফরেনসিক পরীক্ষাকারী দল ময়নাতদন্ত শেষ করেছে। তাঁরা মরদেহগুলোর আবার কবর দেওয়ায় মত দিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ হিসেবে রোগ, ক্ষুধা, নির্যাতন ও হত্যা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত মাসের শুরুতে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী জঙ্গল থেকে কয়েকশ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই অঞ্চলকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করত মানবপাচারকারীরা। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারীরা মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমান ও বাংলাদেশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর নাম করে এই জঙ্গলে আনত এবং নির্যাতন করে মুক্তিপণ আদায় করত।
মালয়েশিয়া জানিয়েছে, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।