এবার জনপ্রতি ফিতরা সর্বনিম্ন ৬০, সর্বোচ্চ ১৬৫০ টাকা
এবার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৬০ টাকা ও সর্বোচ্চ এক হাজার ৬৫০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
আজ বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির এক সভা থেকে ফিতরার এ হার নির্ধারণ করা হয় বলে দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ও জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা এ এম এম সিরাজুল ইসলাম।
সভায় জানানো হয়, ইসলামী শরিয়াহ মতে, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যের যেকোনো একটি দিয়ে ফিতরা দেওয়া যায়। আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে এক কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ৬০ টাকা আদায় করতে হবে। খেজুর দ্বারা আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা, কিশমিশ দ্বারা আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য এক হাজার ২০০ টাকা, পনির দ্বারা আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য এক হাজার ৬০০ টাকা এবং যব দ্বারা আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজারমূল্য ২০০ টাকা ফিতরা আদায় করতে হবে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর যেকোনো একটি পণ্য বা তার বাজারমূল্য অনুযায়ী সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, উপর্যুক্ত পণ্যগুলোর স্থানীয় খুচরা বাজারমূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
রোজা পালনের সময় যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়, তার প্রতিকার বা ক্ষতিপূরণের জন্য এবং ধনীদের পাশাপাশি গরিবরাও যেন ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে, সে জন্য ইসলামী শরিয়তে রমজান মাসের শেষে ঈদুল ফিতরে ধনীদের ওপর ‘সাদাকাতুল ফিতর’ ওয়াজিব করা হয়েছে।
সাদাকাতুল ফিতরের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য হচ্ছে, ঈদের খুশিতে গরিব শ্রেণির লোককেও শামিল করে নেওয়া। এতে একদিকে যেমন রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ হবে, অন্যদিকে গরিব-দুঃখী মুসলমান নিশ্চিন্ত মনে খাওয়া-পরার জিনিসপত্র সংগ্রহ করে অন্য মুসলমানের সঙ্গে ঈদের জামাতে শরিক হতে পারবেন। এতে ধনী-গরিবের মধ্যে অর্থনৈতিক ব্যবধান কমে আসে এবং সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি গড়ে ওঠে।