টানা বৃষ্টিতে মংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই ও খালাস ব্যাহত
টানা ছয়দিনের ভারি বর্ষণ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মংলায় জাহাজে পণ্য বোঝাই ও খালাস কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের কারণে আজ শনিবারও মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেল, হাড়বাড়িয়া এবং বহির্নোঙরে অবস্থানরত মোট ১১টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ ছিল।
এদিকে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সাগর ও উপকূলীয় নদ-নদীগুলো উত্তাল রয়েছে। ফলে পণ্য খালাসের জন্য ব্যবহৃত লাইটারেজ জাহাজ চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) কাজী গোলাম মোক্তাদের জানান, বৃষ্টির কারণে জাহাজে পণ্যবোঝাই ও খালাস কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। বর্তমানে মংলা বন্দরে পণ্য খালাসের জন্য গম, কয়লা, সার ও ক্লিংকারবাহী (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) ১১টি বিদেশি জাহাজ অবস্থান করছে। বৃষ্টিপাতের কারণে এসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে একটানা ভারি বর্ষণে মংলা বন্দর শহরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শহরের অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। কোনো কোনো এলাকায় বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। টানা বৃষ্টিতে মংলা শহরতলির মিয়াপাড়া, শেলাবুনিয়া, কুমারখালী, পূর্ব কবরস্থান, জয় বাংলাসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকার নিম্নাঞ্চল বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। বৃষ্টির পানিতে শহরের প্রধান প্রধান রাস্তায় হাঁটুপানির কারণে জনসাধারণের চলাচলে খুব সমস্যা হচ্ছে। ছোট শিশুদের দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ।
অপরদিকে লঘুচাপের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো টিকতে পারছে না। বৈরী আবহাওয়াতেও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো সুন্দরবনের কচিখালী, সুপতি, দুবলার চর, নারকেলবাড়িয়াসহ বনের ছোট ছোট বিভিন্ন নদী ও খালে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।