ময়মনসিংহ খাদ্য গুদামে ৩০০ টন পচা চাল !
ময়মনসিংহের খাগডহরে কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে একটি চক্র চোরাইপথে খাওয়ার অযোগ্য ৩০০ মেট্রিকটন চাল মজুদ করেছে। নিম্নমানের ওই চাল এখন সরকারের ক্রয় নীতিমালার আওতায় ক্রয় দেখিয়ে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের ষড়যন্ত্র করছে।
এই অভিযোগ করে আজ সোমবার ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক ফারুক হোসেন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের দুটি অনুলিপি ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতার অভিযোগে বলা হয়, ‘খাগডহরে কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামে চোরাইপথে ৩০০ মেট্রিকটন নিম্নমানের (খাওয়ার অযোগ্য) চাল গুদান নং ৪৫, ৪৬ ও ৫৩ তে মজুদ রাখা হয়েছে। উক্ত নিম্নমানের চাল বর্তমানে সরকারি ক্রয় নীতিমালার আওতায় ক্রয় দেখিয়ে একটি কুচক্রী মহল সরকারের ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্র করছে।’
এ অবস্থায় জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে গুদাম তিনটি একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সিলগালা করে অবৈধপথে গুদামে রাখা চাল জব্দ করার দাবি জানানো হয় লিখিত অভিযোগে। সেই সঙ্গে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার সময় ফারুক হোসেনের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল আলম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুছ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত উসমান লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। ময়মনসিংহের বিভিন্ন গুদামে বিভিন্ন চক্র দীর্ঘদিন ধরে সরকারের ধান-চাল ক্রয়নীতির আওতায় সরকারি খাদ্য গুদামে খাওয়ার অযোগ্য চাল সরবরাহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে খাগডহর গুদামের ব্যবস্থাপক সানোয়ার হোসেন এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেন, তাঁর গুদামে কোনো অতিরিক্ত বা পচা চাল নেই।’ একই কথা বলেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মাহবুবুর রহমান।
জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার আগে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, নিয়মিত বৈধ চালান ছাড়া গুদাম থেকে যাতে কোনো চাল বাইরে না যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে।