গাইবান্ধায় ওসি, ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
গাইবান্ধা জেলা আদালতের তিন কর্মচারীকে সোনালী ব্যাংকে অবরুদ্ধ করে মারপিটের অভিযোগে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ব্যাংক ব্যবস্থাপকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে গাইবান্ধার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাসকিনুল হক এ আদেশ দেন।
জেলার বিচারিক হাকিম আদালতের কর্মচারী কমল চৌধুরীর করা মামলার আর্জিতে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার তিনিসহ আদালতের কর্মচারী তিন কর্মচারী ট্রেজারি চালান ও বেতনের চেক নিয়ে শহরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে যান। প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে তাঁরা যথারীতি লাইনে দাঁড়িয়ে কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে ব্যাংক ব্যবস্থাপক আয়েস উদ্দিনের নির্দেশে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি রাজিউর রহমান, উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবসহ ১০ জন ব্যাংকে ঢুকে কমল চৌধুরীকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকেন। এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের রেকর্ড কিপার মোজাম্মেল হক ও ক্যাশিয়ার কবির মণ্ডলসহ অন্য গ্রাহকদের মারপিট করতে থাকেন।
পরে কমল চৌধুরীকে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার কমল চৌধুরী বাদী হয়ে আদালতে ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
মামলার শুনানি শেষে বিচারক ১০ জনকে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় জেলার অর্ধশত আইনজীবী সহযোগিতা করেন।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি রাজিউর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ব্যাংকের মধ্যে গ্রাহকদের মধ্যে গোলমাল লেগেছে শুনে আমি ওই ব্যাংকে যাই। গিয়ে দেখি এক ব্যক্তির সঙ্গে অন্য গ্রাহকদের গোলমাল চলছে, মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। পরে আমি ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি।’ তিনি আরো বলেন, ‘থানায় আনার পর জানতে পারি ওই ব্যক্তি আদালতের কর্মচারী। পরে তাঁকে আমরা সেখানে পৌঁছে দেই।’
আদালতের কর্মচারী কমল চৌধুরীকে মারধরের অভিযোগের ব্যাপারে ওসি বলেন, ‘আমি উনার গায়ে হাত তুলিনি। বরং ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে হাতাহাতি করছিলেন তিনিই।’